অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর বিডিও-র

পুকুর না কেটেই টাকা ‘লোপাট’

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে পুকুর কাটিয়ে সেটির ধারে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়। সুলতানপুরে। কিন্তু অভিযোগ, পুকুর না কেটেই টাকা লোপাট করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নলহাটি, সিউড়ি শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৯ ০০:২২
Share:

অদৃশ্য: সরকারি খাতায়-কলমে এখানেই ‘কাটা’ হয়েছে পুকুর। নলহাটির বাণীওড়ে। ছবি: তণ্ময় দত্ত

১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে পুকুর না কেটে টাকা লোপাটের অভিযোগে উদ্যানপালন বিভাগের এক অস্থায়ী ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর রুজু করলেন নলহাটি ১ ব্লকের বিডিও। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি উদ্যানপালন দফতরের অস্থায়ী আধিকারিক। তাঁর বিরুদ্ধে নলহাটির বাণীওড় পঞ্চায়েতের সুলতানপুর গ্রামে পুকুর কাটার নামে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে পুকুর কাটিয়ে সেটির ধারে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়। সুলতানপুরে। কিন্তু অভিযোগ, পুকুর না কেটেই টাকা লোপাট করা হয়েছে।

কৃষকসভার স্থানীয় সম্পাদক চন্দ্রকান্ত মাল বলেন, ‘‘নির্ধারিত এলাকায় কোনও পুকুর কাটা হয়নি।’’ বাণীওড় পঞ্চায়েতের প্রধান আরতি মাল বলেন, ‘‘ওই পুকুরের বিষয়ে কোনও কিছুই জানি না।’’

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি সামনে আসতে বিডিওকে দিয়ে অভিযোগের তদন্ত করানো হয়। থানায় রুজু করা হয় মামলাও। নলহাটি ১ ব্লকের বিডিও জগদীশচন্দ্র বাড়ুই বলেন, ‘‘নলহাটি থানায় সোমবার এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তও শুরু করেছে।’’ এ বিষয়ে কোনও ভাবেই অভিযুক্ত আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ২৮টি পুকুর খননের দায়িত্বে ছিল উদ্যানপালন দফতর। অভিযোগ, সে জন্য বরাদ্দ টাকা তুলে নেওয়া হলেও পুকুরগুলির অধিকাংশই ঠিক মতো কাটানো হয়নি। যে সংখ্যক কর্মদিবস বরাদ্দ ছিল, সেই পরিমাণ কাজই করা হয়নি।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ওই অভিযোগ সামনে আসার পরে জেলাশাসক, জেলা পরিষদ সভাধিপতি, সংশ্লিষ্ট দফতরের সরকারি আধিকারিকেরা কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পান। তার পরেই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করা হয়। বিভিন্ন পঞ্চায়েতকে চিঠি দিয়ে ই-মাস্টার রোল তৈরি করতে বলা হয়েছিল। ‘এমজিএনআরইজি এ সেল’ এবং জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্যানপালন দফতরের কাটানো ২৮টি পুকুরের মধ্যে মাত্র দু’টিতে ভাল কাজ হয়েছে। বাকি ২৬টিতে বিচ্যুতি পাওয়া গিয়েছে। নলহাটির বাণীওড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কাটানো পুকুরে বিচ্যুতির অভিযোগ প্রথম মিলেছিল, প্রশাসনিক তরফে তদন্ত শেষ করে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বাকি ২২টি পুকুরের বিযয়ে উপ-অধিকর্তা (উদ্যানপালন) সজলেন্দু শীটের কাছে জবাবদিহি চাওয়া হয় বলেও প্রশাসন সূত্রে খবর। তার উত্তর মঙ্গলবার পর্যন্ত মেলেনি। প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন, বাকি ৩টি পুকুরে সরেজমিন তদন্ত করা হবে দু-এক দিনের মধ্যেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন