দীর্ঘ জটে নাকাল সকলেই। শুক্রবার নলহাটিতে। —নিজস্ব চিত্র।
ক্রাশারের চেকগেট বন্ধ করে দেওয়ায় কয়েক ঘণ্টা যানজটে অবরুদ্ধ হল লনহাটি সিএসডি মোড়ের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে বেলা প্রায় ১টা পর্যন্ত ভোগান্তি চলে। পরে পুলিশ আর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আলোচনার মাধ্যমে গেট খোলানো হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
নলহাটি ক্রাশার থেকে বেরোনোর পথে করিমপুর বাইপাসে দু’টি চেকগেট রয়েছে। পাথর বোঝাই লরি নিয়ে যাওয়ার সময়ে সেখানে রয়্যালটির টাকা জমা করতে হয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এলাকার কিছু যুবক পাথর বোঝাই গাড়ি নিয়ে বেরোনোর পথে চেকগেটের কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের ঝামেলা বাধে। সেই সময়ে সেখানে কর্তব্যরত বিএলএলআরও (নলহাটি ২) তমাল ভট্টাচার্যকে ওই যুবকেরা মারধর করে বলেও অভিযোগ। খবর পেয়েও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে সকাল ৯টা নাগাদ বিএলএলআরও দু’টি চেকগেট বন্ধ করে দেন।
ক্রাসারে পাথর নিতে সকাল থেকে গাড়ি ঢুকতে শুরু করে। বোঝাই হওয়া গাড়ি সন্ধ্যা থেকে সারা রাত বেরোতে থাকে। বিএলএলআরও (নলহাটি ১) কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘‘জেলাশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত চেকগেটে সশস্ত্র পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকার কথা। কিন্তু নলহাটি থানা তেমনটা করে না।’’ নলহাটি থানা সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, সব সময়ে সশস্ত্র পুলিশকর্মী না দেওয়া গেলেও পুলিশকর্মীরা থাকেন।
এ দিন চেকগেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে ক্রাশার থেকে গাড়ি নিয়ে বেরোননি অনেক চালক। তাঁরা দাবি করেন, রয়্যালটির টাকা জমা দেওয়ার রসিদ না থাকলে রাস্তায় তাঁদের জরিমানা হতে পারে। জায়গা না পেয়ে ব্রাহ্মণী নদীর সেতু থেকে সিএডিসি মোড় পর্যন্ত পাথর নিতে আসা খালি ট্রাক সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে।
জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। সিউড়ি থেকে জয়দীপ মুখোপাধ্যায় যাচ্ছিলেন মুরারই। ঘণ্টা দুয়েক আটকে থাকার পরে প্রায় তিন কিলোমিটার হেঁটে নলহাটি শহরে পৌঁছন তিনি। লেহাপুর থেকে সিউড়ি যাচ্ছিলেন কলেজ ছাত্রী ছবি মণ্ডল। পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে তেজহাটি মোড়ে গিয়ে ট্রেকার ধরতে হয় তাঁকে। নিত্যযাত্রী শেফালি দাস, অনন্ত কবিরাজদের অভিযোগ, ক্রাসারে যাতায়াত করা ট্রাকের জন্য প্রায়ই যানজটে জেরবার হতে হয় তাঁদের।