সিউড়ি পুরসভা। ফাইল চিত্র।
এ বার শহর জুড়ে ব্যানার, ফেস্টুন লাগাতে গেলে নিতে হবে অনুমতি। জমা রাখতে হবে টাকা। ব্যানার, ফেস্টুন সময় মতো না খুললে ফেরত পাওয়া যাবে না ‘ডিপোজ়িট মানি’। শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিল বীরভূমের সিউড়ি পুরসভা।
পুরসভা সূত্রে খবর, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পতাকায় ছেয়ে গিয়েছে গোটা সিউড়ি শহর। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ব্যানার, ফেস্টুন। এর মোকাবিলা করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, অনুমতি নিয়েই শহরে ব্যানার, ফেস্টুন লাগাতে হবে। তার জন্য টাকা জমা রাখতে হবে। ব্যানার, ফেস্টুন লাগানোর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি তা খুলে না নেওয়া হয়, তা হলে ফেরত পাওয়া যাবে না জমা করা টাকা। তবে ডিপোজ়িট মানি কত হবে, তা বোর্ডের বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুরসভার চেয়ারম্যান।
সিউড়ি পুরসভার এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে শাসক দলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাকে এই নাটক বন্ধ করতে হবে। তৃণমূলের পতাকা লাগানোর লোক নেই বলেই ওরা এই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করতে চাইছে। বিজেপি যাতে পতাকা লাগাতে না পারে, সেই জন্যই এ সব করা হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির পতাকা মানুষের মনে লেগে রয়েছে। ওদের আর কিছুই করার নেই। কাটমানি খাওয়ার সব রাস্তা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে।’’
এ বিষয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিউড়ি পুরসভা নিশ্চয়ই ভাল বুঝে শহর পরিষ্কার রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।। তারা যদি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, সব দলের মতো আমাদের দলও নিয়ম মেনে চলবে। আর শহর পরিষ্কার থাকলে সকলেরই ভাল লাগবে।’’