নাটক: শুক্রবার কৃষি মেলায়। নিজস্ব চিত্র
চাষিরা ফসল ফলান। কিন্তু সেই ফসলের সিংহ ভাগ বাড়িতে আসে না। দালালের মাধ্যমে সেই ফসল মহাজনের গোলায় জমা হয়। কিন্তু সেই পথ থেকে মুক্তি দিতে পারে কিসান ক্রেডিট কার্ড। নাটকের মাধ্যমে সে কথা উঠে এল মানবাজার ১ ব্লক কৃষি দফতরের কৃষি মেলায়।
মানবাজার কিসান মান্ডি চত্বরে আয়োজিত এই মেলা শেষ হয় শুক্রবার। ওই নাটকে জানানো হয়েছে, মহাজনি নির্ভরতার সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন কৃষকের পাশে রয়েছে সরকার। রয়েছে কৃষক বন্ধু দফতর। চাষের মূলধন দেওয়া থেকে কারিগরি সহায়তা, আধুনিক চাষের ধ্যান ধারণার নাগাল পেতে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও এখন রয়েছে।
মানবাজার ১ ব্লক কৃষি অধিকর্তা অর্ক রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘কৃষকদের জন্য নানা ধরনের প্রশিক্ষণ এবং চাষ সম্পর্কিত স্কুলের মাধ্যমে আমরা আধুনিক চাষের ধারণা দিচ্ছি।’’ কড়া শীত উপেক্ষা করে সন্ধ্যায় বহু চাষি নাটক দেখতে এসেছিলেন। কৃশি দফতরের আশা, কৃষকেরা নাটকের মাধ্যমে চাষ সম্পর্কিত তথ্য অনেক সহজ ভাবে গ্রহণ করতে পেরেছেন।
মানবাজার থানার বারকুড়ি গ্রামের অনন্ত গোপ, বুড়িশহর গ্রামের সঞ্জয় বাউরি, জয়ন্ত বাউরি বলেন, ‘‘নাটক দেখছি বলে আমাদের একবারও মনে হয়নি। মনে হয়েছে চাষ করতে গিয়ে আমরা প্রতিদিন যে সব সমস্যার মুখোমুখি হই, একে বারে সে সব কথাই বলা হয়েছে। আমরা নিজেরা যে ভাবে কথা বলি, নাটকে সবাই সে ভাবে কথা বলছিল।’’
তাঁরা আরও জানান, ধানে ফুল আসছে না কেন, পোকার আক্রমণ হলে কী জাতের পোকা তা চেনার উপায়, প্রতিষেধক দেওয়া বা কিসান ক্রেডিট কার্ড কী ভাবে উপকার মেলে— সবই খুব সহজ করে বোঝানো হয়েছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪৫ মিনিটের এই নাটকটি পুরুলিয়ার ‘কোরক’ নাট্য গোষ্ঠী উপস্থাপন করছে। নাম— ইবার জাগিছে।