অনাস্থায় শেষ পর্যন্ত সরতেই হল সোনাইজুড়ি পঞ্চায়েতের তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ প্রধানকে। শুক্রবার তলবিসভায় পঞ্চায়েতের দশ জন সদস্যর মধ্যে ছ’জন প্রধান সুচিত্রা সহিসের বিরুদ্ধে মত দেন।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সোনাইজুড়ির ১০টি আসনের মধ্যে ছ’টিতে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। দু’টি আসনে সিপিএম এবং বাকি দু’টিতে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল, এসইউসি এবং জেএমএম মহাজোটের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের পর থেকেই দলের একাংশের সঙ্গে পঞ্চায়েত পরিচালনা নিয়ে দূরত্ব তৈরি হয় প্রধান সুচিত্রাদেবীর। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁকে প্রধানের পদ থেকে অপসারণের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন তৃণমূলের পাঁচ পঞ্চায়েত সদস্য। কিন্তু আস্থাভোটে সিপিএম ও মহাজোটের চার জন সদস্যের সমর্থন পেয়েছিলেন সুচিত্রাদেবী। দশ জনের মধ্যে পাঁচ জন সদস্যের সমর্থন প্রধানের দিকে থাকায় সে যাত্রা অনাস্থা খারিজ হয়ে গিয়েছিল।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে সিপিএমের এক সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ছবিটা বদলে যায়। নির্বাচনের ফল গণনা মিটতেই তৃণমূলের ছয় সদস্য সুচিত্রদেবীর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। অনাস্থার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রধান। ২৯ জুন তলবি সভার আগে বিকেলে সুচিত্রাদেবীর আইনজীবী চিঠি দিয়ে প্রশাসনকে জানান, আদালত তলবি সভায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সভা স্থগিত করে প্রশাসন। বিডিও (কাশীপুর) মানসী ভদ্র চক্রবর্তী জানান, পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পরে আইন মোতাবেক ফের অনাস্থা এনেছিলেন ওই সদস্যেরা। তার তলবি সভায় অপসারিত হয়েছেন প্রধান।
প্রতারণায় গ্রেফতার। চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে কেদারনাথ রায় নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। তাকে বর্ধমান থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ডিভিসি ও রাজ্যের সেচ দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে বেশ কয়েক জন যুবকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়েছে ওই যুবক।