সবেধন নীলমণি হয়ে বোলপুর পুরসভায় এক জন মাত্র কাউন্সিলর অবশিষ্ট ছিলেন। পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সেই কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় কংগ্রেস-শূন্য হল বোলপুর পুরসভা।
সোমবার ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রীনা বীরবংশীর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। শুধু তিনি এক নন, বোলপুর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ জাহাঙ্গির হোসেনও অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। রীনাদেবী ব্লক কংগ্রেস সভাপতির অনুগামী হিসেবে পরিচিত। ২০১৫ সালের পুরভোটে বোলপুর পুরসভার ২০টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পায় দু’টি আসন। বিজেপি ও নির্দল একটি করে আসন পেয়েছিল। বাকি ১৬টি আসনে জেতে তৃণমূল। ভোট-পর্ব মেটার কয়েক মাসের মধ্যেই বোলপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর রাধেশ্যাম আশ যোগ দেন তৃণমূলে। কংগ্রেসে ছিলেন কেবল পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের রীনা বীররংশী। সেখানে থাবা বসাতে পারেনি শাসকদল। সোমবার তিনিও আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বোলপুর পুরসভায় কংগ্রেসের আর কেউ থাকলেন না!
তবে এই দলবদল নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে অনেক দিন ধরেই জল্পনা ছিল। সোমবার সকালে সেই জল্পনার অবসান হল। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “ওঁরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সংগঠন আরও মজবুত হল।” তৃণমূলে যোগ দিয়ে রীনা বীরবংশী, মহম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতেই তৃণমূলে আসা।”