নলকূপ সারানোয় গড়িমসি

সরকারি আবাসনে ১০৮টি ফ্ল্যাট। তাতে বসবাস করেন প্রায় হাজার খানেক মানুষ। কিন্তু পানীয় জলের ভরসা একমাত্র নলকূপটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে রয়েছে। ফলে প্রায় কংসাবতী সেচ দফতরের অফিস এলাকা থেকে জল নিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার পথ উজিয়ে ফিরতে হয় বিষ্ণুপুরের সরকারি আবাসনের বাসিন্দাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৬ ০২:৩৭
Share:

বিষ্ণুপুরের সরকারি কর্মীর পরিবারের লোকেদের ভোগান্তি। —নিজস্ব চিত্র

সরকারি আবাসনে ১০৮টি ফ্ল্যাট। তাতে বসবাস করেন প্রায় হাজার খানেক মানুষ। কিন্তু পানীয় জলের ভরসা একমাত্র নলকূপটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে রয়েছে। ফলে প্রায় কংসাবতী সেচ দফতরের অফিস এলাকা থেকে জল নিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার পথ উজিয়ে ফিরতে হয় বিষ্ণুপুরের সরকারি আবাসনের বাসিন্দাদের।

Advertisement

তাঁদের অভিযোগ, পুরনো সাবমার্সিবল পাম্পটিও দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে। আর একটি পাম্প থেকে ঘোলা জল ওঠে। ওই জলে আবাসনের বাসিন্দাদের স্নান করাও মুশকিল।

ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, পরিকাঠামোর দেখভালের দায়িত্বে থাকা আবাসন দফতরের এক ওয়ার্ক অ্যাসিস্টান্টকে বারবার জানিয়েও কাজের কাজ হয়নি। এমনকী খোদ মহকুমাশাসককে সমস্যার কথা তাঁরা জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ।

Advertisement

সম্প্রতি ওই আবাসনে গিয়ে দেখা গেল, সকাল সকাল কলসি, বালতি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন অনেকে। ঠা ঠা রোদের মধ্যেই তাঁরা জল নিয়ে আসতে কংসাবতী সেচ দফতরের অফিস এলাকায় যাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে ওই আবাসনের বাসিন্দা অসীম রায়, স্বদেশ পাঠক, ভক্তি ঘোষ এবং কাকলি মুখোপাধ্যায়রা বলেন, ‘‘জলের জন্য রোজই এই ভোগান্তি পোহাতে হয় আমাদের। কিন্তু নলকূপ সারানো নিয়ে কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের। বারবার প্রশাসনের কর্তাদের জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না।’’

আবাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট আলোয় অধিকারীর কোয়ার্টারে গিয়ে দেখা গেল দরজায় তালা ঝুলছে। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, সপ্তাহে এক দিনের বেশি তিনি কোয়ার্টারে থাকেন না। টেলিফোনে চেষ্টা করেও আলোয়বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

তবে বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক পার্থ আচার্য বলেন, ‘‘আবাসন দফতরকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। আশা করি শীঘ্রই ওই নলকূপটি সারানো হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন