মেলার দোকানে ঝড়ে গাছ পড়ে মৃত্যু

সকাল থেকে আগুন ঝরা আকাশ অল্পক্ষণেই মেঘে ঢাকা পড়ে গেল। ঝড়ের সঙ্গে নামল তুমুল বৃষ্টি। শনিবার দুপুরে আবহাওয়ার এই পরিবর্তনে দুই জেলায় স্বস্তি মিললেও ক্ষয়ক্ষতিও হল। পাড়া থানার পাড়া গ্রামে ঝড়ে গাছের বড়মাপের ডাল ভেঙে পড়ায় মৃত্যু হল একজনের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া ও পাড়া শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৭ ০২:০৩
Share:

সকাল থেকে আগুন ঝরা আকাশ অল্পক্ষণেই মেঘে ঢাকা পড়ে গেল। ঝড়ের সঙ্গে নামল তুমুল বৃষ্টি। শনিবার দুপুরে আবহাওয়ার এই পরিবর্তনে দুই জেলায় স্বস্তি মিললেও ক্ষয়ক্ষতিও হল। পাড়া থানার পাড়া গ্রামে ঝড়ে গাছের বড়মাপের ডাল ভেঙে পড়ায় মৃত্যু হল একজনের। জখম হলেন আরও তিন জন। বহু এলাকায় গাছ ভেঙে পড়ে রাস্তায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্নও হয়ে যায়।

Advertisement

শনিবার দুপুরে পাড়া গ্রামে ধর্মরাজ পুজোর মেলা বসেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, গাছের ডাল ভেঙে পড়ে সেখানে মারা যান পান্নালাল শর্মা (৩৭)। তাঁর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে। জখম হয়েছেন মালদার রাজীব সিংহ, প্রহ্লাদ সাউ ও দেওঘরের বাসিন্দা মেঘনাদ রাউত। তাঁরা সবাই মেলায় লোহার বাসনপত্রের দোকান দিয়েছিল। এ দিন দুপুরে পুরুলিয়া জেলার বেশ কিছু অংশে ঝড়-বৃষ্টি হয়। ওই ঝড়েই মেলার একাংশের অশ্বত্থ গাছের একটা বড় ডাল ভেঙে পড়ে দু’টি দোকানের উপরে। দুর্ঘটনার জেরে হইচই পড়ে যায় মেলায়। জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ও পাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সীমা বাউরি। সীমাদেবী জানান, জখম তিন জনকে পাড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, এ দিন ঝড় বৃষ্টি চলাকালীন বাজ পড়ে রাইপুরে মৃত্যু হয়েছে এক বধূর। ইন্দ্রঝোড় এলাকার মৃত বধূ চাঁদমণি মুর্মু (৪৫) ও তাঁর স্বামী লক্ষ্মীকান্ত মুর্মু এ দিন দুুপুরে ওই দম্পতি গ্রাম সংলগ্ন চাষ জমিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে বাজ পড়লে দু’জনেই জখম হন। তাঁদের ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চাঁদমণি মৃত বলে জানানো হয়। লক্ষ্মীকান্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

Advertisement

বাঁকুড়ার আবহাওয়া কেন্দ্র জানাচ্ছে, শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ জেলার তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই হয়ে গিয়েছিল। তবে ঝড় বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা এক ঝটকায় অনেকটাই নেমে যায়। এ দিন বাঁকুড়ায় ১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঝড়বৃষ্টির জেরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্যুৎ সংযোগ সাময়িক ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেমে পড়েন। ঝড়বৃষ্টির জেরে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা প্রশাসন জানাতে পারেনি।

বাঁকুড়ার জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, “ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে।” বাঁকুড়া বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওনাল ম্যানেজার চন্দ্রশেখর সেনগুপ্ত বলেন, “কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তবে বিকেলের মধ্যেই অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন