সোনাঝুড়িতে ওয়ানওয়ে

শনিবার এবং ছুটির দিনগুলিতে এলাকার যানজট রুখতে, সোনাঝুরির রাস্তায় ‘ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক’ ব্যাবস্থা আনতে চলছে মহকুমা পুলিশ প্রশাসন। বোলপুরের এসডিপিও অম্লান কুসুম ঘোষের উদ্যোগে, শনিবার পরীক্ষামূলক ভাবে এই ব্যাবস্থা চালুও করেছেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৫ ০১:৪২
Share:

শনিবার এবং ছুটির দিনগুলিতে এলাকার যানজট রুখতে, সোনাঝুরির রাস্তায় ‘ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক’ ব্যাবস্থা আনতে চলছে মহকুমা পুলিশ প্রশাসন। বোলপুরের এসডিপিও অম্লান কুসুম ঘোষের উদ্যোগে, শনিবার পরীক্ষামূলক ভাবে এই ব্যাবস্থা চালুও করেছেন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, ‘ওয়ান ওয়ে’ হওয়ায়, এলাকার অনেকটা যানজট রোখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে আলোচনা করে, খুব শীঘ্রই এই মর্মে আসতে চলেছে নির্দেশিকা।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেল থেকে দেশি বিদেশী পর্যটকদের ঢল নামে খোয়াই বনের হাটে। শুধু তাই নয়, পর পর ছুটির দিন এবং সাপ্তাহিকী ছুটিতেও, সোনাঝুরি এলাকায় পর্যটকদের ঢল নামে। সাইকেল, রিকশা, দু’চাকার পাশাপাশি কয়েক শো নানা যানবাহন যাতায়ত করে ওই রাস্তায়। ফলে অহেতুক যানজট তৈরি হয় ওই রাস্তায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা শ্যামবাটী সেচ সেতুর কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, ওই রাস্তার ওপর নির্ভরশীল মানুষদের। বয়স্ক, শিশু থেকে শুরু করে, মুমূর্ষু রুগী পর্যন্ত আটকা পড়ে ওই যানজটে।

শ্যামবাটী সেচ সেতু এলাকায় যানজটের জেরে চারদিকে যানবাহনে স্তব্ধ হয় এলাকা। সেচ সেতুর মুখে একদিকে গোয়ালপাড়া তার উল্টো দিকে শ্যামবাটী এবং একদিকে প্রান্তিক এবং তার উল্টো দিকে সোনাঝুরির রাস্তায় কয়েক শো যানবাহন আটকা পড়ে। ট্রাফিক ব্যাবস্থাকে জোরদার করে যানজটের ভোগান্তি থেকে বাঁচাতে, বোলপুরের এসডিপিও অম্লান কুসুম ঘোষের উদ্যোগে, এ দিনই পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে ওই ‘ওয়ান ওয়ে’ ট্রাফিক বাবস্থা। তিন চাকা থেক শুরু করে সোনাঝুরি রাস্তায় আসাযাওয়া করা নানা গাড়িকে বল্লভপুর পর্যন্ত নিয়ে শ্রীনিকেতন হয়ে ফের শহরে এবং শান্তিনিকেতনে ঢোকার ব্যবস্থা করেছিল পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এও আরেকটি পরিকল্পনা ছাড়াই উদ্যোগ। এতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছেই। যে ঘুরপথে গাড়িগুলিকে ঘোরানো হচ্ছে, তাতে অনেক সময় লাগছে।

শান্তিনিকেতনের এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, উচিত ছিল শান্তিনিকেতনকে রক্ষা করার জন্য রেললাইনের ধার দিয়ে যে বাইপাসটি করার, সেটি আগে করার। প্রতিদিন কয়েক শো গাড়ি যাতায়ত করে আশ্রমের ভিতর দিয়ে। ধূলোয় ঢাকছে ভাস্কর্যগুলি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী, শ্রীনিকেতন ও শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদ ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন মহল বহু বার বৈঠক করেও রেল লাইনের বাইপাস নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন