দশের কয়েন নিয়ে কাটছে না ভোগান্তি

দশ টাকার কয়েন নিয়ে বিভ্রান্তি লেগেই রয়েছে বাঁকুড়ায়। এ বারে কিছু ব্যাঙ্ক দশ টাকার কয়েন নিতে গড়িমসি করছে বলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন জেলার ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:২৪
Share:

দশ টাকার কয়েন নিয়ে বিভ্রান্তি লেগেই রয়েছে বাঁকুড়ায়। এ বারে কিছু ব্যাঙ্ক দশ টাকার কয়েন নিতে গড়িমসি করছে বলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন জেলার ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

সোমবার এই অভিযোগ নিয়ে বাঁকুড়া কনজিউমার ডিলার্স অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জেলাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি জয়ন্ত বরাটের কথায়, “দশ টাকার কয়েন নিয়ে মানুষ কিছুটা সচেতন হয়েছে বটে, কিন্তু সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি। অনেকেই এখনও ওই কয়েন নিতে চাইছেন না। এমনকী ব্যাঙ্কেও কয়েন জমা করতে সমস্যা হচ্ছে অনেক সময়।’’ বিষ্ণুপুরের একটি পেট্রোলপাম্পের মালিক গুরুদাস মহন্ত বলেন, “কয়েক লক্ষ টাকার কয়েন জমে গিয়েছে। গ্রাহকেরা নিতে চাইছেন না। ব্যাঙ্কও ফিরিয়ে দিচ্ছে। কী গতি করি বুঝতেই পারছি না।’’ বাঁকুড়া জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, সমস্যাটি জেলার লিড ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে জানিয়ে পদক্ষেপ করতে বলা হবে।

বস্তুত, কেন্দ্রের নোট বদলের সিদ্ধান্তের পরে দশ টাকার জাল কয়েনের গুজব মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছিল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কয়েনগুলি বৈধ জানানোর পরেও সমস্যা মেটেনি। সম্প্রতি পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর মহকুমা এলাকার বেশ কিছু ব্যবসায়ীও ব্যাঙ্ক কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে দশ টাকার কয়েন নিতে না চাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। বাঁকুড়ার বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কর্তারাও একই সুরে জানিয়েছেন, দশ টাকার কয়েনে বড় অঙ্কের লেনদেনে গুণতে সমস্যা হয়। মেশিনে নোট গোনা গেলেও কয়েনের ক্ষেত্রে সেই উপায় থাকে না। তাই অনেক কর্মী গড়িমসি করেন। বাঁকুড়া শহরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্তার কথায়, “আমাদের ওই কয়েন নিতে কোনও সমস্যা নেই। তবে লোকবল কম। গুণতে সমস্যা হয়। ব্যবসায়ীরা কয়েনের প্যাকেট আনলে সুবিধা হয়।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন