সাঁইথিয়ায় শ্রদ্ধা। নিজস্ব চিত্র।
পাঠভবনের প্রাক্তনী মহাশ্বেতা দেবীর প্রয়াণে শোকাহত শান্তিনিকেতনও। আশ্রমিক, পড়ুয়া, অধ্যাপক থেকে শুরু করে পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যাক্তিরা নিজেদের মতো করে শোকপ্রকাশ করেছেন। এঁদের সকলেই একবাক্যে বলছেন, ‘‘উচ্চশিক্ষার জন্য মহাশ্বেতা কলকাতায় ফিরে গেলেও শান্তিনিকেতনকে কখনই ভোলেননি। রবীন্দ্র-আদর্শে প্রাণিত পাঠভবনের আমৃত্যু যোগ ছিল তাঁর।’’
শান্তিনিকেতনে খোয়াই বাঁচাও আন্দোলন থেকে শুরু করে এলাকার প্রকৃতি-পরিবেশ বিষয়ক নানা আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। বোলপুরে বাড়তে থাকা প্রমোটারি-রাজ নিয়েও সরব ছিলেন লেখিকা। সে সময় সঙ্গে পেয়েছিলেন পরিবেশ কর্মী মেধা পাটেকরকে। ২০০৪ সালে পাঠভবনের একটি আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে পরিবেশ নিয়ে আন্দোলন অব্যহত রাখারও ডাক দিয়েছিলেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের হস্তক্ষেপের দাবিও জানান।
পাঠভবনের প্রাক্তন অধ্যক্ষ তথা আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, “প্রিয় লেখিকার মৃত্যুতে দেশের সাহিত্য জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। শুধু সাহিত্যই বা কেন, দেশ এক জন প্রতিবাদীকে হারাল।” পাঠভবনের শিক্ষক তথা পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কিশোর ভট্টাচার্য জানান, পরিবেশ আন্দোলনে ‘আমরা সবাই’ সংগঠন ওনারই দেওয়া নাম। ‘‘যেন প্রিয়জন-বিচ্ছেদ হল’’— প্রতিক্রিয়া বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক স্বপন দত্তের।
এগোচ্ছে কাজ। শহরে নতুন জলপ্রকল্প বাস্তবায়নের পথে আর এক ধাপ এগোল সাঁইথিয়া। শহরের পুরপ্রধান বিপ্লব দত্ত জানান, পাইপ-লাইন বসানোর কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে জলের পাইপলাইন ঠিক আছে কিনা, তার পরীক্ষার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে সমস্ত ওয়ার্ডেই পাইপলাইন পরীক্ষার কাজ শুরু হবে। এমন খবরে খুশি অনেকেই। অনেকের আবার দাবি, আরও দ্রুত কাজ শেষ করা হোক। আশ্বাস দিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষও।