জল-সঙ্কট কত তীব্র, শুনলেন বিধায়ক

 ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির অন্যতম অঙ্গ বিধায়কদের গ্রাম সফর। আগে একদফা কর্মসূচি পালন করেছেন বিধায়করা। এটা দ্বিতীয় বার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৩৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ময়ূরাক্ষী নদী। অথচ সারা বছর পানীয় জলের সঙ্কটে ভুগতে তাঁদের। দীর্ঘদিন বাদে শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়কে হাতের নাগালে পেয়ে সেই সঙ্কট মেটানোর দাবি তুলে ধরলেন সিউড়ি ১ ব্লকের লম্বোদরপুর গ্রামের বাসিন্দারা। এ ছাড়াও গ্রামের রাস্তার সংস্কার, গ্রন্থাগার গড়ে দেওয়া, প্রকৃত প্রাপকদের বার্ধক্যভাতা ও বিধবাভাতার আওতায় আনার দাবিও বিধায়কের কাছে রেখেছেন গ্রামবাসীরা।

Advertisement

‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির অন্যতম অঙ্গ বিধায়কদের গ্রাম সফর। আগে একদফা কর্মসূচি পালন করেছেন বিধায়করা। এটা দ্বিতীয় বার। সেই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে শনিবার সন্ধ্যায় তিলপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্ধিষ্ণু ওই গ্রামে গিয়েছিলেন অশোকবাবু। সঙ্গী ছিলেন সিউড়ি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি স্বর্ণশঙ্কর সিংহ, দলের নেতা রাধাবল্লভ চট্টোপাধ্যায়, রণজিৎ সেনগুপ্ত, জেলা পরিষদের সদস্য সুপ্রিয়া দাস প্রমুখ। প্রথমেই বিধায়ক দেখা করেন আগে থেকে ঠিক

করে রাখা গ্রামের সম্মাননীয় ব্যক্তি বিপু দাস, সুকুমার গড়াই, কুমার রায়, বিশ্বজিৎ সাধুদের সঙ্গে। পরে গ্রামের অন্নপূর্ণা মন্দিরে বসে

Advertisement

চলে গ্রামবাসীদের অভাব- অভিযোগ শোনার সভা। কিন্তু যেখানেই গিয়েছেন, সেখানেই বিধায়কের কাছে পানীয় জলের সঙ্কট মেটানোর দাবি তুলেছেন এলাকার মানুষজন।

গ্রামের মানুষ জানান, একটি জল প্রকল্প রয়েছে বটে। কিন্তু, তার জল লম্বোদরপুর উঁচুপাড়ায় পৌঁছয় না। অথচ হুসনাবাদ গ্রামের মধ্যে পাইপলাইনে জল আসছে।

ওই গ্রামে কেউ কেউ ‘কারিগরি বিদ্যা’ প্রয়োগ করায় সমস্যা আরও বাড়ছে। এ বিষয়ে বিধায়ককে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করেন গ্রামবাসী। বিধায়ক তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন। পাশে থাকা স্বর্ণশঙ্কর সিংহ জানান, ভাণ্ডিরবনে একটি জল প্রকল্পের কাজে হাত পড়েছে। সেটি সম্পন্ন হলে সমস্যা মিটবে।

এরপর বিধায়ক অশোকবাবু দলের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক সেরে গ্রামের বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে কথা বলেন। কুমার রায় বিধায়ককে বলেন, গ্রামের রাস্তায় সংস্কার প্রয়োজন। বিপু দাস জানান, গ্রামে একটি পরিত্যক্ত স্কুল ভবনে গ্রন্থাগার করা যায় কিনা, সে প্রস্তাব দিয়েছেন। আবদার এসেছে সঠিক প্রাপকদের বার্ধক্য ও বিধবা ভাতার আওতায় আনারও। স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের

বিরুদ্ধে কিছু অভাব অভিযোগ এবং জনসংযোগে ঘাটতির কথাও উঠে এসেছে। তবে বিধায়কের এই সফরকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছেন গ্রামের মানুষ। অশোকবাবুও বলছেন, ‘‘এ ভাবে মানুষের কথা শোনার জন্যই তো ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন