বৈঠকের নির্যাস জানানো হবে মন্ত্রিগোষ্ঠীকে

সচিব স্তরের বৈঠকে আইন বদলের আর্জি

শিল্পাঞ্চলের জট কাটাতে শুক্রবার দুপুরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয় সিউড়ি লাগোয়া বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অতিথি নিবাসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৮ ০১:৪৪
Share:

ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমিতে লিজ দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা এবং লিজ ছাড়া পাথর উত্তোলন করা যাবে না— এই দু’টি প্রশাসনিক শর্তের সমন্বয় কী ভাবে করা যেতে পারে তা নিয়ে পাথর শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করলেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সমাধানসূত্র বেরিয়েছে তা এখনই বলা যাবে না। বৈঠকের নির্যাস জানানো হবে মন্ত্রিগোষ্ঠীকে। তার পরেই মিলতে পারে সমাধানসূত্র।

Advertisement

পাথর শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত মালিকপক্ষের দাবি, সমাধানসূত্র মিলতে পারে এক মাত্র আইনের সংশোধনের পথেই। তাঁদের ও জমি মালিকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ না করে সেই পথ খুঁজতে আর্জি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

শিল্পাঞ্চলের জট কাটাতে শুক্রবার দুপুরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয় সিউড়ি লাগোয়া বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অতিথি নিবাসে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের প্রধান সচিব মনোজ পন্থ, ক্ষুদ্রশিল্প দফতরের প্রধান সচিব রাজীব সিংহ, পরিবেশ ও বন দফতরের প্রধান সচিব ইন্দীবর পাণ্ডে, শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের যুগ্ম সচিব উৎপল ভদ্র। ছিলেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) পূর্ণেন্দু মাজি, জেলার এসপি কুণাল অগ্রবাল এবং পাথর শিল্পাঞ্চলের যুক্ত প্রতিনিধিদল।

Advertisement

দীর্ঘদিন ধরে ‘বন্ধ’ পাথর শিল্পাঞ্চল ঘিরে অচলাবস্থা রয়েছে। তা কাটাতে আন্দোলনের পথে নেমেছেন শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর একাংশ।

প্রশাসনিক কর্তাদের ব্যাখ্যা, ২০১৬ সালে ‘শর্ট টার্ম কোয়ারি পারমিট’ আইন বদলেই সমস্যার সূত্রপাত। তাতে বলা হয়, সরকারি শর্ত পূরণ করে মোটা টাকার বিনিময়ে ই-অকশনের মাধ্যমে নির্বাচিত লিজপ্রাপ্তরাই পাথর উত্তোলনে অধিকারী হবেন। বালির ক্ষেত্রে সমস্যা না হলেও অধিকাংশ পাথর শিল্পাঞ্চল ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমিতে হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়। সঙ্গে ছিল ওই বছরেই পরিবেশ আদালত থেকে জারি করা নির্দেশিকাও। সেখানে যে কোনও উত্তোলনের ক্ষেত্রে ছাড়পত্রের কথা বলা হয়েছিল। ওই দুই শর্ত পূরণ করতে না পারায় প্রশাসন নোটিস করে পাথর খাদান বন্ধের নির্দেশ ঝুলিয়ে দেয়। উল্লেখ্য, কাগজে-কলমে জেলার ২১৭টি পাথর খাদানের মধ্যে মাত্র ছ’টি খোলা রয়েছে। ‘বন্ধ’ রয়েছে দু’হাজার ক্রাশারও।

এ দিনের বৈঠকের পরে বীরভূম পাথর শিল্পাঞ্চল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাজির হোসেন মল্লিক বলেন, ‘‘সমাধানসূত্র বের হয়নি। জটিলতাও রয়েছে। আমরা অবৈধ তকমা হটিয়ে বৈধ হতে চাই। জট কাটিয়ে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি থেকে পাথর উত্তোলনের লিজ নিতে হলে কী করা প্রয়োজন তা ঠিক করুক প্রশাসন। আমরা সে কথাই তাঁদের সামনে তুলে ধরেছি। ওঁরা আশ্বাস দিয়েছেন, আলোচনার সব মন্ত্রিগোষ্ঠীকে জানানো হবে। তার পরেই নীতি প্রণয়নের রূপরেখা স্পষ্ট হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন