margram

বোমা উদ্ধারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পুলিশ

তপন গ্রামের বাসিন্দা, সিপিএমের স্থানীয় কালুহা অঞ্চল সভাপতি মান্নান খানের অভিযোগ, ‘‘গ্রামের বেশির ভাগ বাসিন্দা আগে তৃণমূল করতেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:০০
Share:

উদ্ধার হওয়া বোমা। মুরারইয়ের তপন গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

জেলবন্দি সিপিএম নেতার বাড়ির পিছন থেকে বোমা উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়ল পুলিশ। মঙ্গলবার মাড়গ্রামের তপন গ্রামের ওই বাসিন্দারা দাবি করেন, বোমা রেখে ওই নেতাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। কে বা কারা বোমাগুলি রেখেছিল সে ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

তপন গ্রামের বাসিন্দা, সিপিএম নেতা ইয়াকুব শেখের বাড়ির পিছনে খড়ের কুঁড়ের কাছে বালতিতে বোমা মজুত করা আছে খবর পেয়ে এ দিন সকালে বোমা উদ্ধার করতে যায় মাড়গ্রাম থানার পুলিশ। গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, দিন কয়েক ইয়াকুব শেখকে একটি বিবাদের জেরে অস্ত্র রাখার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ফের তাঁকে ফাঁসানোর জন্য তাঁর বাড়ি লাগোয়া খড়ের গাদায় বোমা রেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।

তপন গ্রামের বাসিন্দা, সিপিএমের স্থানীয় কালুহা অঞ্চল সভাপতি মান্নান খানের অভিযোগ, ‘‘গ্রামের বেশির ভাগ বাসিন্দা আগে তৃণমূল করতেন। তৃণমূল নেতা আলিম খান, হাফিজ খান ও অন্য তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারে অনেকে সিপিএম করছে। তাঁদের মধ্যে ইয়াকুব অন্যতম। তাই তৃণমূল পুলিশের সাহায্য নিয়ে ছোট ঘটনায় ইয়াকুবকে আগ্নেয়াস্ত্র আইনে অভিযুক্ত করে জেলবন্দি করেছে। বোমা রেখে আবারও ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’’

Advertisement

ইয়াকুবের ভাই ইসরাফিল হক বলেন, ‘‘দাদা তৃণমূলের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে পাঁচ মাস আগে সিপিএমে যোগ দিয়েছে। সেই রাগে ফাঁসানো হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করে কারা বোমা মজুত রেখেছিল তা দেখুক।’’

ওই গ্রামেরই বাসিন্দা, কালুহা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান, তৃণমূলের আলিম খানের পাল্টা দাবি, ‘‘ইয়াকুব, মান্নানরা গ্রামে আগে বিজেপি করত। বর্তমানে সিপিএম করছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ইয়াকুব অশান্তি করবার জন্য বোমা মজুত রেখেছিল। আমরা চাই সমাজবিরোধী কাজে যুক্তদের পুলিশ গ্রেফতার করুক।’’

মাড়গ্রামে বোমা উদ্ধার বা বোমাবাজির ঘটনা নতুন নয়। চলতি মাসের ৪ ফেব্রুয়ারি মাড়গ্রামে বোমার আঘাতে দুই তৃণমূল কর্মী মারা যাওয়ার ঘটনায় এখনও ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ঘরে মজুত বোমা ফেটে মাড়গ্রামের একডালা গ্রামে দুই কিশোর জখম হয়। এক জনের মৃত্যূ হয়। অন্য এক জনের একটি চোখ নষ্ট হয়। ফের মাড়গ্রাম থানায় বোমা উদ্ধার হওয়ায় পুলিশি নজরদারি ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। এ দিন দুপুর ২টোর পরে এলাকায় বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা পৌঁছে বোমাগুলি উদ্ধার করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন