বৃদ্ধকে বাড়ি ফেরাল পুলিশ

রাস্তায় জখম হয়ে থাকা বৃদ্ধকে উদ্ধার করে তাঁর মেয়ের কাছে ফিরিয়ে দিল পুলিশ। ঘটনাটি পুরুলিয়ার সাঁওতালডিহি থানার। রামজনম যাদব নামে ওই বৃদ্ধকে বুধবার রাতে আসানসোলে তাঁর মেয়ের বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মানসিকভাবে কিছুটা অপ্রকৃতিস্থ রামজনমবাবু। তাঁর আদি বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে। কিন্তু কী ভাবে তিনি সাঁওতালডিহিতে এসেছিলেন, সেই বিষয়ে বিশদে কিছুই জানাতে পারেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁওতালডিহি শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৫ ০২:১৯
Share:

রাস্তায় জখম হয়ে থাকা বৃদ্ধকে উদ্ধার করে তাঁর মেয়ের কাছে ফিরিয়ে দিল পুলিশ। ঘটনাটি পুরুলিয়ার সাঁওতালডিহি থানার। রামজনম যাদব নামে ওই বৃদ্ধকে বুধবার রাতে আসানসোলে তাঁর মেয়ের বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মানসিকভাবে কিছুটা অপ্রকৃতিস্থ রামজনমবাবু। তাঁর আদি বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে। কিন্তু কী ভাবে তিনি সাঁওতালডিহিতে এসেছিলেন, সেই বিষয়ে বিশদে কিছুই জানাতে পারেননি। পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত ১টা নাগাদ সাঁওতালডিহি টাউনশিপের এক বাসিন্দা থানায় ফোন করে জানান, টাউনশিপের এস ব্লকের রাস্তায় এক বৃদ্ধ অসুস্থ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। পরনে জামা-কাপড় কার্যত নেই। খবর পেয়ে টহলদার ভ্যান গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় সাঁওতালডিহি বিদ্যুৎকেন্দ্রের হাসপাতালে। সেখানে অবশ্য প্রাথমিক চিকিৎসার পরে বছর সত্তরের ওই বৃদ্ধকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মাথায় চোট ছিল ওই বৃদ্ধের। পরে তাঁকে থানায় এনে জামা-কাপড় কিনে দেয় পুলিশ। বুধবার সকালের দিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সাঁওতালডিহি থানার ওসি ত্রিগুণা রায়। কিন্তু নিজের বাড়ি সম্পর্কে বা কী ভাবে তিনি সাঁওতালডিহিতে এলেন, সে বিষয়ে প্রথমে কিছুই জানাতে পারেননি ওই বৃদ্ধ। থানার এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ওই বৃদ্ধ নিজের নাম বলতে পারলেও বাড়ির ঠিকানা বা অন্য কিছুই জানাতে পারছিলেন না। দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পরে উনি আসানসোলের গোয়ালাপাড়ার নাম বলতে পেরেছিলেন।” সেই মতো এ দিন দুপুরে সাঁওতালডিহি থানার দুই পুলিশকর্মী রামজনমবাবুকে নিয়ে যান আসানসোলে। সেখানে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরে সন্ধান মেলে তাঁর বিবাহিত মেয়ে রেখাদেবীর। তাঁর বাড়িতেই রামজনমবাবুকে রেখে আসে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন