Anganwadi center

বারান্দায় চাল বিলি, ভিতরে খসল চাঙড়

করোনা-পরিস্থিতিতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে রান্না করা খাবার দেওয়া বন্ধ রয়েছে। চাল ও অন্য শুকনো জিনিসপত্র বিলি চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাদাতা

সাঁতুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:২১
Share:

এমন হয়ে রয়েছে অঙ্গনওয়াড়ির ছাদের দশা। নিজস্ব চিত্র ।

বেহাল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বাইরের বারান্দা থেকে বিলি করা হচ্ছিল চাল। আশঙ্কা সত্যি করে সেই সময়েই মূল বাড়ির ছাদ থেকে খসে পড়ল বড় চাঙড়। ভিতরে কেউ না থাকায় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। বুধবার সকালের ওই ঘটনার পরে, পুরুলিয়ার সাঁতুড়ির কিনাইডি গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি অবিলম্বে মেরামত করার দাবি উঠেছে। বিডিও (সাঁতুড়ি) রঞ্জন হাইত জানান, স্থানীয় রামচন্দ্রপুর-কোটালডি পঞ্চায়েতকে দ্রুত সেই কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

করোনা-পরিস্থিতিতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে রান্না করা খাবার দেওয়া বন্ধ রয়েছে। চাল ও অন্য শুকনো জিনিসপত্র বিলি চলছে। এ দিন সে সব নিতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়েছিলেন শিশুদের অভিভাবক ও প্রসূতিরা। পরিদর্শনের জন্য তখন হাজির ছিলেন সিডিপিও (সাঁতুড়ি) সায়ন্তনী বসু। তিনি বলেন, ‘‘বাইরে চাল দিচ্ছিলেন কর্মীরা। হঠাৎ, ভিতরের বাড়ির ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়তে শুরু করে।’’ কেন্দ্রটির কর্মী সুলেখা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল। এর আগেও চাঙড় খসে পড়েছে। সেই ভয়েই বারন্দা থেকে কাজ চলছিল।

এ দিন চাঙড় খসে পড়ার সময়ে বাইরে চাল নিচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা কল্যাণময় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘বহু পুরনো বাড়ি। সংস্কারের জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দরবার করেও কাজ হয়নি। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পুরোদস্তুর খোলা থাকলে কী হত ভেবেই শিউরে উঠছি!’’ সুলেখা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেহাল ভবন নিয়ে সমস্যা চলছে। সিডিপিও-র দাবি, ব্লক প্রশাসনকে আগেও বিষয়টি জানানো হয়েছিল। এ দিনের ঘটনার পরে, আবার বলা হয়েছে।

Advertisement

বিডিও (সাঁতুড়ি) রঞ্জন হাইত বলেন, ‘‘ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র মেরামতির জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েতকে বলা হয়েছিল। এরই মধ্যে ছাদের চাঙড় খসে পড়েছে বলে শুনেছি। দ্রুত কাজ সেরে ফেলতে বলা হয়েছে।’’ আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই সারাইয়ের কাজ শুরু হবে বলে রামচন্দ্রপুর-কোটালডি পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে সংস্কারের বদলে ভবনটি নতুন করে গড়ার দাবি তুলেছেন অনেকে। বিডিও বলেন, ‘‘নতুন বাড়ি তৈরির টাকা ব্লক প্রশাসনের কাছে নেই। পঞ্চায়েতকে বার্ষিক পরিকল্পনায় বিষয়টি দেখতে বলা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন