ক্ষোভে তালা ডাকঘরে

পোস্টমাস্টার মাঝে মধ্যেই ডাকঘরে আসেন না। তাই বার বার স্থানীয় পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে চূড়ান্ত হয়রান হচ্ছেন বাসিন্দারা। এমনই অভিযোগ তুলে শুক্রবার হিড়বাঁধের একটি ডাকঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। হিড়বাঁধ ব্লকের ঝরিয়াকোচা শাখা ডাকঘর এ দিন সকাল ১০টা থেকে প্রায় দু’ঘণ্টা তালা বন্ধ ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হিড়বাঁধ শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৪ ০১:০১
Share:

পোস্টমাস্টার মাঝে মধ্যেই ডাকঘরে আসেন না। তাই বার বার স্থানীয় পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে চূড়ান্ত হয়রান হচ্ছেন বাসিন্দারা। এমনই অভিযোগ তুলে শুক্রবার হিড়বাঁধের একটি ডাকঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। হিড়বাঁধ ব্লকের ঝরিয়াকোচা শাখা ডাকঘর এ দিন সকাল ১০টা থেকে প্রায় দু’ঘণ্টা তালা বন্ধ ছিল। খবর পেয়ে হিড়বাঁধ থানার ওসি রামনারায়ণ পাল বাহিনী নিয়ে গিয়ে গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে দুপুর ১২টা নাগাদ তালা খোলানোর ব্যবস্থা করেন। হিড়বাঁধ ব্লকের গোপালপুর পঞ্চায়েতের ঝরিয়াকোচা গ্রামে এই শাখা ডাকঘরের অবস্থান। গোপালপুর পঞ্চায়েতের ঝরিয়াকোচা, নন্দা, বানশা, তিলাবাইদ, কড়াপাড়া গ্রামের প্রায় ৫০০০ বাসিন্দা এই ডাকঘরের মাধ্যমে তাঁদের দৈনন্দিন কাজকর্ম করেন। ওই এলাকায় হাজার খানেক শ্রমিকের জবকার্ড রয়েছে। এলাকার বহু মানুষ বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা পান এই শাখা ডাকঘর থেকেই। কাজেই শাখা ডাকঘর হলেও বাসিন্দাদের কাছে এর গুরুত্ব অনেক।

Advertisement

এ দিনের বিক্ষোভে সামিল তিলাবাইদ গ্রামের খেতমজুর পরমেশ্বর হেমব্রম, সুদীপ্ত টুডু, শরৎ হেমব্রমদের অভিযোগ, “জবকার্ড রয়েছে, কিন্তু ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে কোনও অ্যাকাউন্ট নেই। নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বারবার ডাকঘরে যাচ্ছি। কিন্তু পোস্টমাস্টার প্রায় দিনই থাকেন না। ফলে আমাদের অ্যাকাউন্ট আর খোলা হচ্ছে না।” এর জেরে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার বহু মানুষ। ভাতা প্রাপকদের ক্ষোভ, ‘‘পোস্টমাস্টার না থাকায় সময়ে ভাতার টাকাও তুলতে পারছি না। বারবার ডাকঘরে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে।” ঝরিয়াকোচা শাখা ডাকঘরের ভারপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার বাবলু দেশমুখ অবশ্য দাবি করেন, “আমি প্রতিদিনই ডাকঘরে আসি। কিন্তু নতুন অ্যাকাউন্টের পাশবই-সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সবই ইঁদপুর পোস্ট অফিস থেকে আসে। সেখান থেকে পাশবই না আসায় অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব হয়নি।” একই সঙ্গে তিনি অফিসে কর্মী সঙ্কট রয়েছে বলে দাবি করেছেন। এর জেরে কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। তাঁর আশ্বাস, পাশবই এলেই নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন