তখনও নতুন নির্দেশিকা আসেনি। অথচ, সেই নির্দেশিকা নিয়েই জেলার কোনও কোনও ডাকঘরে দিনভর দুর্ভোগের শিকার হলেন গ্রাহকরা।
তাঁদের শুনতে হল, ডাকঘরে কেবল মাত্র সেভিংস অ্যাকাউন্টেই পুরনো পাঁচশো হাজারের নোট জমা নেওয়া হবে। যদিও বুধবার দিনের শেষে, জেলার পোস্টাল সুপারিনটেন্ডন্ট পরিমল মিত্র বলেন, ‘‘এখনও এই মর্মে কোনও নির্দেশিকা আসেনি। বা রিজার্ভ ব্যাঙ্কও কোনও নির্দেশ জেলার মূল ডাকঘরগুলিতে পাঠায়নি।’’
এ দিন জেলার বেশিরভাগ ডাকঘর গুলিতেই ক্ষুদ্র বা স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে নেওয়া হয়নি পুরনো পাঁচশো বা হাজারের নোট। তাতেই সমস্যায় পড়েছেন মানুষ। ‘‘রেকারিং ডিপোজিট বা টাইম জিপোজিটই হোক বা ন্যাশানাল সেভিং সার্টিফিকেট কোনও ক্ষেত্রেই আর পুরনো নোট নিচ্ছি না’’, বলছেন নাম প্রকাশে আনিচ্ছুক জেলার এক পোস্টমাস্টার। পোস্টাল এজেন্টের কাজে নিযুক্ত এমন অনেকেই বলছেন, ‘‘এর ফলে প্রভূত সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।’’
কখনও টাকার জোগান নেই তো কখনও লিঙ্ক না থাকার মতো সমস্যা জেলার ডাকঘর গুলিতে ছিলই। বলা হয়েছিল নোট বদল হবে ডাকঘরেও। জেলার অধিকাংশ ডাকঘরই সেই সুবিধা দেয়নি। এখন যদি সেভিংস অ্যাকাউন্ট ছাড়া টাকা জামা না নেয় তাহলে মানুষ যায় কোথায় বলছেন খয়রাশোলের শ্যামসুন্দর দাস, বাঁকা দত্তরা।
পরিমলবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের সাইটে এমন নির্দেশিকা সাঁটিয়েছে ঠিকই। কিন্তু আরবিআই বা ডাইরেক্টোরেট থেকে বুধবার বিকাল পর্যন্ত কোনও নির্দেশ জেলায় আসেনি। বিভ্রান্তি থাকলে সেটা দূর করতে হবে।’’