হালকা শীতে জমাট ভিড়

দিনভর চলেছিল নানা জল্পনা হয়েছে বুধবার। ছাতিমতলার বেদীতে ৭ই পৌষ ব্রাহ্ম উপাসনায় বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের বসাকে কেন্দ্র করে, বিলি হয়েছে হ্যান্ডবিল। এমনকী রাতের বৈতালিকে যোগদান করার পরেও, কেউ কেউ ভেবেছিলেন হয়তো নিজে থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:২২
Share:

ডাক দিয়েছে...। বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতনে পৌষমেলায় ছবিটি তুলেছেন বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।

দিনভর চলেছিল নানা জল্পনা হয়েছে বুধবার। ছাতিমতলার বেদীতে ৭ই পৌষ ব্রাহ্ম উপাসনায় বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের বসাকে কেন্দ্র করে, বিলি হয়েছে হ্যান্ডবিল। এমনকী রাতের বৈতালিকে যোগদান করার পরেও, কেউ কেউ ভেবেছিলেন হয়তো নিজে থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্ম উপাসনায় সব জল্পনায় জল ঢেলে ছাতিমতলায় থাকলেন সুশান্তবাবু। পাঠভবনের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুপ্রিয় ঠাকুর, বিশ্বভারতীর প্রাক্তন অধ্যাপিকা কল্পিকা মুখোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে ছাতিমতলার বেদীতে বিশ্বভারতীর রীতি মেনে, শুরু হল উপাসনা।

Advertisement

এ বার পৌষ উৎসবে বড় জন সমাগমের কথা মাথায় রেখে, নিরাপত্তার কারণে আগেই রবীন্দ্র ভবন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী। এ দিন সকালে ছাতিমতলায় সঙ্গীত, মন্ত্র পাঠ, স্তোত্র পাঠ এবং প্রদক্ষিণের পর প্রথা মেনে, উত্তরায়ণের উদয়নে কবিকক্ষে শ্রদ্ধা জানানো হয় রবীন্দ্রনাথকে। দিনভর মেলার নানা অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন সুশান্তবাবু। আম্রকুঞ্জে আশ্রমিক সংঘের অনুষ্ঠান এবং বিকেলে আলাপিনী মহিলা সমিতির ‘শ্রেয়সী’ পত্রিকার উদ্বোধন করেন তিনি।

পৌষ উৎসবের সূচি মেনে মেলা প্রাঙ্গনে বিনোদন মঞ্চে বাউল, ফকিরদের গান, কবিগান, মনসামঙ্গলের অনুষ্ঠানে মেলার প্রথম দিনেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে, কনকনে ঠাণ্ডার আঁচ না পাওয়া গেলেও, মেঘলা আবহাওয়াতে মেলায় দর্শকেরা ভিড় জমিয়েছেন শান্তিনিকেতনে। বিশ্বভারতী ও জেলা পুলিশের উদ্যোগে এবং আর্জিতে, অন্যান্যবারের তুলনায় প্রথম দিন থেকেই সুশৃঙ্খল মেলাপ্রাঙ্গণের দর্শকেরা। রাস্তায় যান চলাচল ছিল নিয়ন্ত্রিত। এলাকায় যানজট রোধে ব্যবস্থা, পুলিশ নজরদারির ছিল চোখে পড়ার মতো।

Advertisement

এ বারও নিরাপত্তার জন্য মেলায় রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার, সিসিটিভি আর উর্দিধারীদের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশও রয়েছে। এ দিন রাতে বিনোদনে মঞ্চে অনুষ্ঠান হয়েছে পাঁচালী গান, রণপা নৃত্য, ছৌ, লোকনৃত্য ও যাত্রাভিনয়। আজ শুক্রবার, মেলায় আগত দেশি, বিদেশী রবীন্দ্রানুরাগী এবং পর্যটকদের জন্য ফি বছরের মতো রয়েছে নানা অনুষ্ঠান। আম্রকুঞ্জে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎসব, পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের উত্তীর্ণদের নিদর্শন পত্র প্রদানের অনুষ্ঠানের সঙ্গে মেলাপ্রাঙ্গনে রয়েছে ফকিরগান, সতীপীরের পাঁচালি ও কীর্তন। অনুষ্ঠানে রয়েছে রায়বেঁশে, মুখোশনৃত্য ও আলকাপ। সন্ধ্যায় উপাসনা গৃহে খ্রিষ্টোৎসব এবং ইন্দিরা গাঁধী কেন্দ্রের সংলগ্ন মাঠে আতসবাজির অনুষ্ঠান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন