ভাল ফল করেও সঙ্কটে ভবিষ্যত

প্রচণ্ড দারিদ্রের মধ্যেও উচ্চমাধ্যমিকে ভাল নম্বর পেয়ে চমক দিয়েছে গঙ্গাজলঘাটির নিত্যানন্দপুর হাইস্কুলের ছাত্রী ঝুমা পাতর। ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্নও দেখছে সে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গঙ্গাজলঘাটি শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৭ ১৩:২৮
Share:

আশাবাদী: ঝুমা ও মল্লিকা। নিজস্ব চিত্র

ভাল ফল করেও সঙ্কটের মুখে ওদের লেখাপড়া। কারণ, দারিদ্র।

Advertisement

প্রচণ্ড দারিদ্রের মধ্যেও উচ্চমাধ্যমিকে ভাল নম্বর পেয়ে চমক দিয়েছে গঙ্গাজলঘাটির নিত্যানন্দপুর হাইস্কুলের ছাত্রী ঝুমা পাতর। ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্নও দেখছে সে। তবে তার আগে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে কলেজের পড়াশোনা শেষ করাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তার কাছে। কলা বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক দিয়ে ঝুমা ৪৫৮ নম্বর পেয়েছে। বাবা নরেশচন্দ্র পাতর আনাজ বিক্রেতা, মা মমতাদেবী গৃহবধূ। ঝুমার দিদি মামনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। বোন রুমা নবম শ্রেণির ছাত্রী। নরেশ বলেন, “অভাবের সংসারে তিন মেয়ের খরচ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। উচ্চশিক্ষা মানেই অনেক খরচের ব্যাপার।”

টিউশন পড়িয়ে নিজের উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার খরচ চালিয়েছে গোপালনগর এ টি হাইস্কুলের ছাত্রী মল্লিকা কর্মকার। উচ্চমাধ্যমিকে সে পেয়েছে ৪৩৭। মানবাজার ১ ব্লকের মধ্যে মল্লিকার নম্বরই সর্বোচ্চ। কিন্তু পরবর্তী পড়াশোনা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে তাঁরও। মল্লিকা চায় ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করতে। এলাকায় কলেজ নেই। পুরুলিয়ার কলেজে পড়তে গেলে সেখানেই থাকতে হবে। মল্লিকার বাবা মুরলী কর্মকার এলাকার একটি দোকানের ঠিকা কর্মী। মা আলপনাদেবী গোপালনগর স্কুলেই রান্নার কাজ করেন। অভাবের সংসারে মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরাও।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন