Pradhan Mantri Awas Yojana

সমিতির বিজেপি সভাপতির স্ত্রীর নামও তালিকায়

ঘটনা হল, রঘুনাথপুর ২ ব্লকের আবাস প্লাসের খসড়া তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ১২৯৭ ক্রমিক নম্বরে নাম আছে লেহালি ঘোষগোপের। তিনি রবীন ঘোষগোপের স্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:২০
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (প্লাস) তালিকা থেকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের নাম বাদ দেওয়ার দাবিতে রঘুনাথপুর ২ ব্লক অফিসের সামনে বুধবার গণ অবস্থান করল বিজেপি। দাবি তোলা হয়, স্বচ্ছ ভাবে তালিকা তৈরি করতে হবে। আর এর মাঝে এ দিন দুপুরেই তৃণমূলের নেতৃত্ব দাবি করল, ওই পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির সভাপতি রবীন ঘোষগোপের স্ত্রীর নাম আছে আবাস তালিকায়। যা নিয়ে দু’দলের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।

Advertisement

তৃণমূলের দাবি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পারিবারিক অবস্থা স্বচ্ছল। তাঁর পরিবারের পাকা বাড়ি রয়েছে। ব্লক তৃণমূল নেতা স্বপন মেহেতার অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রভাব খাটিয়ে স্ত্রীর নাম আবাস প্লাসের তালিকায় রেখে স্বজনপোষণ করেছেন।’’ অস্বীকার করেননি সভাপতি রবীন। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘নিজের নামে কোনও পাকা বাড়ি নেই। তাই আমি আবাস যোজনায় বাড়ি পাওয়ার যোগ্য। আমার স্ত্রী বাড়ি পাওয়ার যোগ্য কি না, প্রয়োজনে প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক।”

ঘটনা হল, রঘুনাথপুর ২ ব্লকের আবাস প্লাসের খসড়া তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ১২৯৭ ক্রমিক নম্বরে নাম আছে লেহালি ঘোষগোপের। তিনি রবীন ঘোষগোপের স্ত্রী। সেই তালিকা হাতে নিয়েই তৃণমূল নেতা স্বপন মেহেতার অভিযোগ, ‘‘শুধু বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির স্ত্রীর নামই নয়, প্রকল্পের মাপকাঠি অনুযায়ী যোগ্য নয় বিভিন্ন অঞ্চলের এমন বেশ কিছু বিজেপির নানা স্তরের নেতা-কর্মীর পরিবারের লোকজনের নামও তালিকায় রয়েছে।’’

Advertisement

ঘটনা হল এই ব্লকের ছ’টি পঞ্চায়তের মধ্যে পাঁচটি পঞ্চায়েতই বিজেপির দখলে। পঞ্চায়েত সমিতিতেও ক্ষমতায় বিজেপি। সেই সূত্র ধরেই তৃণমল নেতা স্বপনের অভিযোগ, ‘‘২০১৮ সালে আবাস যোজনার সমীক্ষা হয়েছিল। সে সময় পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় থাকার সুবাদে প্রভাব খাটিয়ে বিজেপির নানা স্তরের নেতা-কর্মীরা নিজেদের পরিবারের সদস্যদের নাম তালিকায় ঢুকিয়েছেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির স্ত্রীর নাম থাকাটাই তার বড় উদাহরণ।”

যদিও সমিতির সভাপতি রবীনের দাবি, ‘‘রাজনৈতিক কারণেই মিথ্যা অভিযোগ তুলে অপ্রচার শুরু করেছে তৃণমূল। বিয়ের পরে ঝাড়খণ্ডে শ্বশুরবাড়িতে থাকতাম। ২০ বছর আগে বড়াগড়িয়া গ্রামে পৈতৃক বাড়িতে ফিরি। সেই বাড়ি আছে বাবার নামে। দু’টি ঘরে তিন ভাই-সহ পরিবারের সবাই থাকি। বাবাকে থাকেন বারান্দায়। ছোট বাড়িতে সবার স্থান সঙ্কুলান হয় না।’’

তাঁর সংযোজন, নিজের বা স্ত্রীর নামে কোনও বাড়ি নেই। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসাবে মাসে ছয় হাজার টাকা সাম্মানিক পান। রবীনের কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূলের নেতাদের মতো সীমাহীন দুর্নীতি করে পাঁচ বছরে কোটি কোটি টাকা রোজগার করিনি। ফলে বাড়ি তৈরি করা সম্ভব হয়নি।” তাঁর দাবি, ‘‘যাঁদের পাকা বাড়ি নেই, তাঁরাই আবাস প্লাসের সুযোগ পাবেন বলে নির্দেশিকা রয়েছে। আমার বা স্ত্রীর নামে কোনও বাড়ি নেই বলেই সমীক্ষার পরে তালিকায় স্ত্রীর নাম উঠেছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন