ফাইল চিত্র।
পৌষ মেলা এখনও অনিশ্চয়তার মুখে। এই মেলা বীরভূমের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পীদের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য দিত বলে বারবার দাবি করেছেন লোকশিল্পীরা। কিন্তু মেলা না হলে এলাকার অর্থনীতিতে যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে তার জন্য এবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বোলপুর শহরে বিকল্প একটি মেলার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। শনিবার সেই মেলার জায়গা পরিদর্শন করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ এবং ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বস্ত্র শিল্প দফতরের আধিকারিকেরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে নমো নমো করে পৌষ মেলা হলেও ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতি সহ একাধিক কারণ দেখিয়ে পৌষ মেলা স্থগিত রাখে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তবে স্বল্প সংখ্যক শিক্ষকদের নিয়ে পৌষ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে, এবারও পৌষ মেলার পরিবর্তে পৌষ উৎসবের পরিকল্পনা রয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। যদিও মেলা করা নিয়ে এখনও পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাই এই দোলাচলের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন এত কম সময়ে পৌষ মেলা আয়োজন করা সম্ভব নয়। আর মেলা না হলে স্থানীয় ব্যবসায়ী, হস্তশিল্পী থেকে শুরু করে মেলার সঙ্গে জড়িত সকলেরই আর্থিক অবস্থার উপরে প্রভাব পড়বে। তাই বিকল্প একটি মেলা করার উদ্যোগ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেই মতো বোলপুরের শিবপুর মৌজার অধীনস্থ ক্ষুদ্র শিল্প বাজার এলাকায় সর্বসাধারণের জন্য একটি মেলা করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে এ দিন মন্ত্রী জানান।
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ১ জানুয়ারির মধ্যে মেলা বসানোর কথা হয়েছে। এই মেলায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পসরা সাজিয়ে বসতে পারবেন হস্তশিল্পী থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য এবং এতদিন পৌষমেলায় যে সব স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দোকান দিয়েছেন তাঁরাও। চন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘আমরা স্থানীয় হস্তশিল্পীদের নিয়ে একটি মেলা করার পরিকল্পনা নিয়েছি। যেমন কলকাতা, দুর্গাপুর, শিলিগুড়িতে মেলা হয় তেমনই বোলপুর শহরেও এই মেলা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং প্রতি বছর যাতে এই মেলা হয় সে ব্যাপারেও আমাদের চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।’’ পৌষ মেলা নিয়ে মন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘পৌষ মেলা নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। উপাচার্য নিজের মতো করে চলেন, কারও কথা শোনেন না। বোলপুর শহর-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ যাতে এই মেলাতে এসে আনন্দ উপভোগ করেন ও এলাকার অর্থনীতি চাঙ্গা হয় তার জন্যই এই প্রয়াস।”