ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির নালিশ, ধৃত স্কুলশিক্ষক

শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল শহরের একটি প্রাথমিক স্কুলে। বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। ঘেরাও করা হল অভিযুক্ত শিক্ষককে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

কলকাতার পরে রামপুরহাট।

Advertisement

শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল শহরের একটি প্রাথমিক স্কুলে। বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। ঘেরাও করা হল অভিযুক্ত শিক্ষককে।

অভিভাবকদের একাংশের নালিশ— ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন ওই শিক্ষক। তাঁর ভয়ে স্কুলে আসতে ভয় পাচ্ছে অনেক পড়ুয়া। সোমবার রামপুরহাট পশ্চিম চক্রের রামপুরহাট পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের জটাধারী মন্দির সংলগ্ন উপেন্দ্রনারায়ণ স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন জনাপঞ্চাশেক অভিভাবক। স্কুলের টিচার্স-রুমে আটকে রাখা হয় অভিযুক্ত শিক্ষককে। খবর পেয়ে স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্মী সেখানে পৌঁছন। আসে পুলিশও। ওই শিক্ষককে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানার পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন কয়েক জন অভিভাবক। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শম্পা সেন জানান, এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ কয়েক জন অভিভাবক স্কুলে ঢুকে এক শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। স্কুলে আসা রামপুরহাট পশ্চিম চক্রের অবর বিদ্যালয় অফিসের কর্মী মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও এ নিয়ে নালিশ জানান অভিভাবকেরা।

Advertisement

রামপুরহাটের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক মিতুনকুমার দে জানান, অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে তরুণকুমার গড়াই নামে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আমিনা সুলতানা, রুকসানা বিবির মতো কয়েক জন বলেন, ‘‘মাস্টারমশাই আমাদের মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। দিনের পর দিন এমন চলছে। মেয়েরা স্কুলে আসতে ভয় পাচ্ছে। অনেক ছাত্রীর সঙ্গেই তিনি এমন কাণ্ড করেছেন।’’ অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই শিক্ষক ক্লাসঘরের দরজা বন্ধ করে ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল ব্যবহার করেন। দিনদশেক আগে অভিযুক্ত শিক্ষককে সতর্ক করা হয়েছিল বলেও অভিভাবকদের দাবি। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি। অভিভাবকদের বক্তব্য, ওই শিক্ষককে অন্য স্কুলে বদলি করলেও তিনি একই কাজ করতে পারেন। তাই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দাবি জানানো হয়।

অভিযুক্ত শিক্ষক দরজা বন্ধ করে পড়াশোনা করানোর কথা স্বীকার করেন। তবে তিনি বলেন, ‘‘আমার নজরের আড়ালে পড়ুয়ারা ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায়। তাই দরজা বন্ধ করে দিই।’’ তাঁর কথায়, ‘‘কয়েক দিন আগে পড়াশোনা না করায় এক ছাত্রকে মারধর করেছিলাম। তার অভিভাবকেরা আমার বিরুদ্ধে নালিশ জানান। তারপর থেকে ছাত্রছাত্রীদের ভালবেসে আদর করি। পড়ুয়ারাও আমাকে আবদার করে জড়িয়ে ধরে। কোনও ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করিনি।’’ রামপুরহাট পশ্চিম চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসের কর্মী মলয়বাবু জানান, কয়েক দিন আগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে তাঁকে সতর্ক করা হয়েছিল। সব কিছু খতিয়ে দেখে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন