ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব, অভিযোগ বিশ্বভারতীতে

‘কুপ্রস্তাব’ দেওয়ার অভিযোগে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রী পুলিশের দ্বারস্থ হল বিশ্বভারতীতে। স্নাতকোত্তর স্তরের ওই ছাত্রীর দাবি, ‘‘ওই অধ্যাপকের দুই মেয়েকে বাড়িতে গিয়ে পড়াতাম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share:

‘কুপ্রস্তাব’ দেওয়ার অভিযোগে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রী পুলিশের দ্বারস্থ হল বিশ্বভারতীতে। স্নাতকোত্তর স্তরের ওই ছাত্রীর দাবি, ‘‘ওই অধ্যাপকের দুই মেয়েকে বাড়িতে গিয়ে পড়াতাম। এম এড করার সময়ে তা বন্ধ করে দিয়েছি। উনি আমাকে ফোন করে, এসএমএস করে বিরক্ত করতেন। সন্ধ্যায় বাড়িতে ডাকতেন।’’ সোমবার রাতে ওই অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, সম্প্রতি পড়ুয়াদের প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিটিই এবং বিশ্ববিদ্যালয়। অভিযুক্ত অধ্যাপক বলেন, ‘‘নিয়ম নীতি মেনে, পরীক্ষায় বসার কথা। অনুপস্থিতির কারণে, পরীক্ষা দিতে না পারার আক্রোশ থেকে হয়তো কেউ এমন করেছে। কারণ, ছাত্রছাত্রীদের অনুপস্থিতির কারনে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তাতে অনেকে ক্ষুব্ধ। আমি চক্রান্তের শিকার। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।”

ছাত্রীর দাবি, সে শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিল। মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দিয়েছে। তা সত্বেও তাকে পরীক্ষায় বসতে বাধা দিয়ে নানা ভাবে হেনস্থা করছেন ওই অধ্যাপক। সব কথা উপাচার্যকে জানানোর পরেই শান্তিনিকেতন থানায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে সে।

Advertisement

বিশ্বভারতী অবশ্য ওই ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছে। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন দত্ত বলেন, “ওই ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে, ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন