বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে এত প্রচার। নাবালিকাদের বিয়ে রুখতে রয়েছে কন্যাশ্রী, সবুজসাথীর মতো সরকারি প্রকল্প। তবুও জেলায় বাল্যবিবাহের হার উদ্বেগজনক।
জেলা প্রশাসনের তথ্যই বলছে, এই বৈশাখে মাত্র ১৪ দিনে বিয়ে হয়েছে ২৭ নাবালিকার। এত সংখ্যক নাবালিকার বিয়ে রোখা গেলেও বহু নাবালিকার খবর পৌঁছয়নি জেলা প্রাশাসনের কাছে। সেটাও মানছেন কর্তারা। প্রতিনিয়ত কমবয়সী মেয়েদের বিয়ে দিচ্ছে পরিবার। এতে কতটা ক্ষতি হচ্ছে সেই নাবালিকার, অনেকক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে সেটা বোঝার কোনও চেষ্টাই নেই পরিবারের। দারিদ্র, অজ্ঞতা থেকে শুরু করে নানা কুসংস্কারে বাল্যবিবাহ বেড়েই চলেছে। এমন অপরাধের আগাম খবরটুকু প্রশাসনের কানে পৌঁছানোর জন্য যে পরিকাঠামো প্রয়োজন সেটাও এখনও কার্যকর নয়।
জেলা চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার নিরুপম সিংহ অবশ্য বলছেন, ‘‘আগের থেকে সচতনতা বেড়েছে। অনেক বেশি সংখ্যক বিয়ে আটাকানো যাচ্ছে। তৃণমূলস্তর থেকে খবর পেতে শিশুশ্রম, শিশু-পাচার ও বাল্যবিবাহের মতো অপরাধমূলক কাজ আটকাতে জেলা, ব্লক ও প্রতিটি গ্রামস্তরে কমিটি গঠিত হয়েছে। কেবল ব্লক ও গ্রামস্তরের কমিটিগুলিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া বাকি। বছরখানেকের মধ্য সেটা করতে পারলে এমন অপরাধের সংখ্যা অনেক কমানো যাবে।’’
গ্রেফতার তিন। ডাকাত সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করল কাটোয়া থানার পুলিশ। শুক্রবার রাতে এসটিকেকে রোড থেকে পাকড়াও করা হয় মিঠুন শেখ, রাকেশ শেখ ও কালাম শেখকে। ধৃতেরা যথাক্রমে গাঙ্গুলিডাঙা, মাঠপাড়া ও কালীগঞ্জের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, দু’রাউন্ড গুলি ও একটি ভোজালি মিলেছে। শনিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।