রাজনগরে পর্যটনকেন্দ্র, প্রস্তাব

আনন্দবাজারের পাঠকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার সাধু সরকার। সঞ্চালনায় দয়াল সেনগুপ্তসম্ভবনাময় পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা যায় রাজনগরকে। পাথরচাপুরি ও বক্রেশ্বরকে ঘিরে দু’টি উন্নয়ন পর্ষদ গঠিত হয়েছে। কেন বঞ্চিত রাজনগর?

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৭ ০১:২৯
Share:

চন্দ্রপুরে: চলছে পুকুর সংস্কারের কাজ। নিজস্ব চিত্র

সম্ভবনাময় পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা যায় রাজনগরকে। পাথরচাপুরি ও বক্রেশ্বরকে ঘিরে দু’টি উন্নয়ন পর্ষদ গঠিত হয়েছে। কেন বঞ্চিত রাজনগর?

Advertisement

মহম্মদ সফিউল আলম, রাজনগর

সভাপতি: ঠিকই, রাজনগরকে ঐতিহাসিক পর্যটনস্থল হিসাবে গড়ে তুলতে পারলে দুটে লাভ। পর্যটকেরা বীরভূমের ইতিহাসের সাক্ষ্য দেখতে পাবেন। তেমনই এখানকার মানুষ অর্থনৈতিক ভাবে উপকৃত হবেন। পাথরচাপুরি উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য হিসাবে এই প্রস্তাব রাজ্যে পাঠিয়েছি।

Advertisement

রাজনগর ব্লকের কৃষি জমির অধিকাংশি সেচ সেবিত ছিল না। সেই সমস্যা দূর করতে গোটা ব্লক জুড়ে ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের কাজ হয়েছে। কিন্তু কাঁদর বা নদীতে যে সব চেক ড্যাম করা হয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ কিনা জানা নেই। তবে তবে কিছু চেক ড্যামে বর্ষার পর জল থাকছে না। তাহলে কী উপকারে লাগল চাষির। যেমন চন্দ্রভাগা নদীতে চেক ড্যামে জল নেই বরং পলি জমেছে।

দাতাকর্ণ মণ্ডল, পাতাডাঙা

সভাপতি: একমত হতে পারলাম না। ক্ষুদ্রসেচ প্রকল্প চাষিদের যথেষ্ট কাজের। ব্লক জুড়ে ৫৩টি চেক ড্যাম, সেচ কুয়ে পুকুর সংস্কার হওয়ায় চাষ অনেক বেড়েছে। এ বার রবি মরসুমে যে পরিমান ফলন হয়েছে, তা বিগত কোনও বছরেই হয়নি। জলতীর্থে ১০টি বিশাল পুকুর খননের কাজ চলছে। কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থেকে থাকলে, সেটা মিটিয়ে নেওয়া সম্ভব।

সেতু নেই। তাই ব্লকের অংশ হলেও সিদ্ধেশ্বরী নদী রাজনগর ব্লক থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে গোয়াবাগান, কুড়ুলমেটিয়া, পটলপুর এই তিনটে গ্রামকে। স্কুল পড়ুয়া থেকে চাষি, সাধারণ মানুষ, সরকারি কর্মী প্রতিদিন বিভিন্ন প্রয়োজনে নদী পেরিয়ে রাজনগরে আসতে হয় বাসিন্দাদের। বর্ষাকালে নদীতে জল বাড়লে সমস্যা চরমে উঠে। নদীর উপর কী আদৌ কখনও সেতু হবে।

আরতি মুর্মু, কুড়ুলমেটিয়া

সভাপতি: সেতু খুবই প্রয়োজনীয় সন্দেহ নেই। কিন্তু এত বড় নদীতে সেতু বানাতে কমপক্ষে ৩-৪ কোটি টাকা খরচ। এত টাকা পঞ্চায়েত সমিতির নেই। জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, সাংসদ-সহ সবাই জানেন বিষয়টি। অদূর ভবিষ্যতে নিশ্চই কোনও ব্যবস্থা হবে।

রাজনগরের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এখনও মাটির। বান্দি থেকে মুক্তিপুর স্কুলে যাওয়ার রাস্তাটিও খুব খারাপ।

স্মৃতি মিত্র, রাজনগর

সভাপতি: প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় বিভিন্ন রাস্তার কাজ চলছে। বা অনুমোদন মিলেছে। বেহাল রাস্তা নিয়ে আর অভিযোগ থাকবে না।

তাঁতিপাড়া ব্লকের সবচেয়ে বড় গ্রাম। কিন্তু গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তাগুলি ক্রমশ সঙ্কীর্ণ হয়ে যাচ্ছে অবৈধ দখলদারির জন্য। ভবিষ্যতে দমকলও ঢুকবে না। কোনও কড়া সিদ্ধান্ত নেবেন কী?

সোমনাথ দে, তাঁতিপাড়া

সভাপতি: এমন হলে অবশ্যই দেখব।

ব্লক জুড়েই যোগযোগ ব্যবস্থায় খামতি রয়েছে। তবে সবচেয়ে সমস্যা ব্লক থেকে সরাসরি কলকাতা যাওয়ার কোনও সরকারি বা বেসরকারি বাস না থাকা। সেটা হলে প্রচুর মানুষ উপকৃত হন।

শান্তি পাল, রাজনগর

সভাপতি: বিষয়টি নিয়ে আমরাও চিন্তিত। বছর খানেক উত্তরবঙ্গ পরিবহনের একটি চলত। এখন কলকাতাগামী বাসগুলি চালায় দক্ষিণবঙ্গ পরিবহন সংস্থা। আমি বিষয়টি জেলা নেতৃত্ব এবং মুখ্যমন্ত্রীকেও জানিয়েছি।

ব্লকের কাছে একটি মাত্র সাংস্কৃতিক মঞ্চ, ও সভাগৃহ রয়েছে। কিন্তু প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত যদি একটি করে এমন মঞ্চ গড়া হলে সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়বে।

ষষ্ঠীপদ মণ্ডল, রাজনগর

সভাপতি: হল বানানো হয়তো যাচ্ছে না। কিন্তু খবর নিয়ে দেখুন পাঁচটি পঞ্চায়েত এলাকার অর্ধেকের বেশি সংসদে একটি করে মুক্ত মঞ্চ তৈরি হয়েছে। ইচ্ছে, প্রতিটি সংসদে এমন মঞ্চ গড়ে দেওয়া।

রাজনগরের তাঁতিপাড়া বিখ্যাত তসর শিল্পের জন্য। কিন্তু সঠিকভাবে বাজার ধরার কৌশল না জানায় ততটা লাভ করতে পারেন না এই পেশায় যুক্তরা। এখনও অনেক শিল্পী আছেন যাঁরা সব সরকারি সুযোগ সুবিধা পান না। পঞ্চায়েত সমিতি যদি একটু দেখে।

রাজু দাস, রাজনগর

সভাপতি: তসর গুটি যাতে নায্য দামে শিল্পীরা পান সে ব্যাপারে আধিকারিকের সঙ্গে কথা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন