এ ভাবেই সরকারি অফিসে কাটা হয়েছে গাছ।—নিজস্ব চিত্র
বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসনিক ভবনের সামনে বেড়ে উঠেছিল বেশ কয়েকটি দেবদারু গাছ। তার সবুজ ডালপালা মন কাড়ত এই অফিসে কাজে আসা বহিরাগতদেরও। বুধবার সেই গাছে কোপ পড়তেই হইচই শুরু। মহকুমা শাসক (বিষ্ণুপুর) পার্থ আচার্য বলেন, ‘‘গাছগুলির কাছাকাছি ট্রান্সফর্মার, ইলেক্ট্রিক তার, হাইটেনশন কেব্ল রয়েছে। বড় বিপদের আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় গাছের শুধু ডালপালা ছেঁটে ফেলা হচ্ছিল।’’ যদিও বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত বন বিভাগের ডিএফও অয়ন ঘোষ বলেন, ‘‘এ দিন ট্রেজারি বিল্ডিঙের পাশে রাস্তার উপর নুয়ে পড়া একটি গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল মহকুমা প্রশাসনকে। দেবদারু গাছের কোনও ডালপালা ছাঁটার অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব ঠিক কী হয়েছে।’’
স্থানীয় মানুষজনের ক্ষোভ, সবুজায়ন নিয়ে দেশজুড়ে যখন প্রচার ও কর্মসূচি চলছে, সেই সময় বিষ্ণুপুরে মহকুমা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এমন কাণ্ড হল কী করে? তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েকদিন ধরেই বিষ্ণুপুর মহকুমাশাসকের অফিসের ভিতরে তিনটি বড় শিরিষ গাছ কাটা চলছে। এ দিন আবার দেবদারু গাছেও হাত পড়েছে। তাই ক্ষোভ বেড়েছে। কিছু মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘তারে লাগার ভয়ে বিপদের আশঙ্কা থেকেই যদি কাটা হয়, উপরের দিকে অংশ না কেটে নিচের দিকের ডালপালা কাটা হল কেন?’’ প্রশাসনেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হতেই একটি গাছের ডালপালা ছাঁটার পরেই কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।