বাস ওঠায় দুর্ভোগ

বহরমপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় কর্মী-সমর্থক পৌঁছে দিতে শুধু রামপুরহাট থেকেই তোলা হল ১২৭টি বাস। এই মহকুমায় সাকুল্যে চলে ১৭০টি বাস। সোম ও মঙ্গলবার, দু’দিনের জন্যে বেশির ভাগ বাস উঠে যাওয়ায় নাকাল হলেন নিত্যযাত্রীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৩৪
Share:

বহরমপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় কর্মী-সমর্থক পৌঁছে দিতে শুধু রামপুরহাট থেকেই তোলা হল ১২৭টি বাস। এই মহকুমায় সাকুল্যে চলে ১৭০টি বাস। সোম ও মঙ্গলবার, দু’দিনের জন্যে বেশির ভাগ বাস উঠে যাওয়ায় নাকাল হলেন নিত্যযাত্রীরা। কমবেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে জেলার অন্যত্রও। সুযোগ বুঝে বাড়তি ভাড়া হাঁকাল অটো-ট্রেকার, টোটো। পুজোর মুখে অতিরিক্ত ভাড়ায় গন্তব্যে পৌঁছতে হল যাত্রীকে।

Advertisement

রামপুরহাট থেকে নলহাটি, অন্য সময় ভাড়া থাকে ১০ টাকা। এ দিন দ্বিগুণ ভাড়া নিতে দেখা গেল চালকদের। তারাপীঠ, মল্লারপুর রুটেও দশের পরিবর্তে ২০ টাকা দিতে যেতে দেখা গেল অনেককেই। বাসের খোঁজ নিতে কেউ কেউ আবার জাতীয় সড়ক পেরিয়ে বাসস্ট্যান্ড থেকে ঘুরে এলেন। এঁদেরই এক জন বললেন, ‘‘অন্য দিন এই সময় অন্তত দশটা বাস থাকে। মঙ্গলবার তার একটাও দেখলাম না। কী করে স্কুলে পৌঁছব বুঝতেও পারছি না!’’ মল্লারপুরের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী অরুণশঙ্কর মণ্ডল জানালেন, আধ ঘণ্টারও বেশি সময় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। বুধিগ্রাম হাইস্কুলের শিক্ষক কাঞ্চন মণ্ডল আবার জানালেন, তিনি এক ঘণ্টা দাঁড়িয়েও বাস পাননি।

হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যাওয়া রোগী, বা তার পরিজনেরাও জানিয়েছেন, এ দিন যথেষ্ট দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। রামপুরহাট ভাঁড়শালা মোড় বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন মাড়গ্রামের বাসিন্দা বছর ষাটেকের খুরসেদ শেখ। তিনি জানান, ভটভটিতে চেপে যেতে গিয়ে ব্যথা বেড়ে গিয়েছে। বারোটা নাগাদ রামপুরহাট বাসস্ট্যান্ড চত্বরে গিয়ে দেখা মিলল রামপুরহাট পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বন্দনা লেট-এর। দশ বছরের প্রতিবন্ধী ছেলেকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। পরের বাড়িতে কাজ সেরে রোজ মঙ্গলবার যান তারাপীঠ রোড স্টেশন লাগোয়া রামপুরহাট দক্ষিণ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে। সেখানে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পড়ুয়াদের পড়ানো হয়। বন্দনাদেবী জানালেন, রামপুরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে তারাপীঠ স্টেশন রোড পর্যন্ত এ দিন কুড়ি টাকা দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। যাত্রীদের ভোগান্তি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি প্রশাসনের কেউই। রামপুরহাটের মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস মুখ খুলতে চাননি। বহু চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি জেলাশাসক পি মোহন গাঁধীর সঙ্গে। বীরভূম জেলা বাস মালিক সমিতির রামপুরহাট শাখার সম্পাদক জামিরুল ইসলাম জানান, প্রথমে ১০২টি বাস দেওয়া হয়েছিল। পরে ৩০টি বাস চায় মুর্শিদাবাদ বাস মালিক সমিতি। জামিরুলের কথায়, ‘‘শুধু রামপুরহাট থেকে আমরা ১২৭টি বাস পাঠাতে পেরেছি।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন