মঞ্চ থেকে শতাধিক প্রাপ্তিযোগ পুরুলিয়ার

মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরে প্রশাসনিক প্রকাশ্য সভা থেকে জেলার আরও একটি ব্লাড ব্যাঙ্ক পাওয়ার কথা। আগে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৩১
Share:

পুরুলিয়া পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার বিকেলে। ছবি: সুজিত মাহাতো

আজ, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে উন্নয়ন সংক্রান্ত শতাধিক প্রকল্প পেতে পারে পুরুলিয়া।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের জানা গিয়েছে, রাস্তাঘাট, কৃষি, শিক্ষা, সমবায়, পর্যটন, ব্লাড ব্যাঙ্ক, সেতু, পানীয় জলের মতো বিভিন্ন প্রাপ্তি হওয়ার কথা। এর মধ্যে রয়েছে ৬২টি রাস্তা। প্রায় সবক’টিই গ্রামীণ। সেগুলির কোনওটি সংস্কার করা হবে। কোথাও নতুন করে হবে কংক্রিটের ঢালাই। কোনও রাস্তা আবার চওড়া করা হবে। সূত্রের দাবি, বেগুনকোদর-আড়শা, হুড়া-পুঞ্চা, টামনা-হেঁশলা রাস্তার প্রশস্তিকরণ হওয়ার কথা। রয়েছে অযোধ্যা পাহাড় থেকে মামুডি পর্যন্ত রাস্তার নির্মাণ, কুমারীকানন পর্যটন কেন্দ্রে ঢালাই রাস্তা। ওই পর্যটন কেন্দ্রের গোলঘরের উন্নীতকরণের কাজও হওয়ার কথা।

মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরে প্রশাসনিক প্রকাশ্য সভা থেকে জেলার আরও একটি ব্লাড ব্যাঙ্ক পাওয়ার কথা। আগে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক ছিল। এ বারে হওয়ার কথা রঘুনাথপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে।

Advertisement

এ দিনই দরজা খোলার কথা সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের। অযোধ্যা পাহাড়ে যুব আবাসের উদ্বোধন হতে পারে। পুঞ্চা, মানবাজার ২, পাড়া, জয়পুর, নিতুড়িয়া, বান্দোয়ান, পুরুলিয়া ১ ব্লকে একাধিক মিনি ইন্ডোর গেম কমপ্লেক্স এবং হুড়ার কলাবনি এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পেরও উদ্বোধন হতে পারে এ দিন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১০৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন হতে পারে প্রকাশ্য সভা থেকে। যার মোট ব্যয় ১৩,৩৭৭.৭৩ লক্ষ টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে সূচনা হতে পারে আড়াইশোরও বেশি প্রকল্পের।

সোমবার বিকেলে কাঁকসা থেকে চপারে মুখ্যমন্ত্রী পুরুলিয়ায় পৌঁছন। অবতরণের জন্য একাধিক হেলিপ্যাড তৈরি রেখেছিল জেলা প্রশাসন। পুরুলিয়া-বোকারো (৩২ নম্বর) জাতীয় সড়কের ধারে, পুরুলিয়া ১ ব্লকের রায়বাঘিনী ময়দানে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায়, পুলিশ সুপার জয় বিশ্বাস। চপার থেকে নেমে কিছুক্ষণ শান্তিরামবাবুর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। শান্তিরামবাবু বলেন, ‘‘কী ভাবে গ্রামীণ পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা যায় মুখ্যমন্ত্রী সেই বিষয়টি নিয়ে সব সময় ভাবনা চিন্তা করেন। মঙ্গলবারের সভাতেও সেই চিন্তা ভাবনার প্রতিফলন থাকবে।’’

আজ, মঙ্গলবার বিকেলে পুরুলিয়া শহরের রবীন্দ্র ভবনে প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা মুখ্যসচিব মলয় দে-র।

মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন না বলেই জানা গিয়েছে। গত এপ্রিলে জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে এসে জেলার উন্নয়নের কাজে অসন্তুষ্ট হয়ে মাঝপথে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। তার পরে তাঁর এই জেলা সফর। এ বার প্রশাসনিক বৈঠক হলেও মুখ্যমন্ত্রী নিজে সেই বৈঠকে থাকছেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন