বাইরে ভাড়া খাটে অ্যাম্বুল্যান্স, প্রশ্ন

এলাকার মুমূর্ষু রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল যার, সেই অ্যাম্বুল্যান্সই ভাড়া খাটছে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির অফিসে। রোগীর বদলে সেটিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম! এমনই অভিযোগ উঠেছে মল্লারপুর ২ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৭ ০১:০২
Share:

এলাকার মুমূর্ষু রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল যার, সেই অ্যাম্বুল্যান্সই ভাড়া খাটছে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির অফিসে। রোগীর বদলে সেটিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম! এমনই অভিযোগ উঠেছে মল্লারপুর ২ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।

Advertisement

পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক খাত থেকে এলাকাবাসীর সুবিধার জন্য কেনা হয়েছিল অ্যাম্বুল্যান্স। সেই অ্যাম্বুল্যান্সেই এখন রোগী চাপে না। চাপানো হয় ইলেকট্রিক সরঞ্জাম। ময়ূরেশ্বর থানার মল্লারপুর এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির ঠিকাদার পথিক মণ্ডল সেই অ্যাম্বুল্যান্সে এখন রোগীর পরিবর্তে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির বোর্ড লাগিয়ে ব্যবহার করছেন। বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ময়ূরেশ্বর ১ বিডিও ও মল্লারপুর ২ পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে অভিযোগ করতে যায়। কিন্তু দু’জনের কাউকে দেখতে না পেয়ে বিজেপি কর্মীরা আজ শুক্রবার বিডিও-র কাছে অভিযোগ দায়ের করবেন। একই সঙ্গে তথ্য জানার অধিকার আইনেও বিষয়টি নিয়ে তারা প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন বলে বিজেপি-র নেতৃত্ব জানিয়েছেন।

মল্লারপুর ২ পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মিন্টু সাহা বলেন, ‘‘আইএসডিপি প্রকল্পে অ্যাম্বুল্যান্সটি কেনা হয়েছিল। অ্যাম্বুল্যান্সের তেল খরচ, চালকের বেতন, রক্ষনাবেক্ষণ করা মুশকিল হচ্ছিল। সেই জন্য অ্যাম্বুল্যান্সটি ব্যবহার হচ্ছিল না। ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ার জন্য মল্লারপুর পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি এলাকার বাসিন্দা রণজিৎ সাহাকে অ্যাম্বুল্যান্সটি এক বছরের লিজে দেওয়া হয়। এর পর কি হয়েছে আমার জানা নেই।’’

Advertisement

পথিক মণ্ডল বলেন, ‘‘রণজিত সাহা ও আমি একই দল করি। রণজিত সাহা চালাতে পারছিল না। বলে আমি অ্যাম্বুল্যান্সটি রণজিতের কাছ থেকে নিয়ে নিই। পরে ব্যাটারি ও কিছু যন্ত্র পরিবর্তন করা হয়। এবং বর্তমানে আমার ব্যবসার কাজে ব্যবহার করছিলাম। দুপুরে প্রধান ফোন করার পরে সিদ্ধান্ত নিয়েছি অ্যাম্বুল্যান্স পঞ্চায়েতকে ফেরত দিয়ে দেব।’’ অন্য দিকে, ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ধীরেন্দ্রমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঠিক কী হয়েছে, আমার জানা নেই। সঠিক ভাবে না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’’

এসডিও (রামপুরহাট) সুপ্রিয় দাস বলেন, ‘‘সরকারি সম্পত্তি এইভাবে বেহাত করা ঠিক হয়নি। বিষয়টা বিডিও দেখতে বলব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন