Bankura

শৌচাগার তৈরি করা হলেও ব্যবহার নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন

গত বছর বাঁকুড়া জেলায় ‘নির্মল বাংলা’ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। সমীক্ষায় চিহ্নিত প্রায় ৪ লক্ষ ২২ হাজার পরিবারকে ওই প্রকল্পে শৌচালয় গড়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৯ ০০:৪৬
Share:

ফাইল চিত্র।

‘নির্মল জেলা’ বাঁকুড়ায় নতুন করে শৌচালয় নির্মাণের কাজ শুরু হতে চলেছে। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস একটি সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ‘নির্মল বাংলা’ প্রকল্পে জেলা জুড়ে নতুন করে ৮৩ হাজার ২৩৯টি শৌচালয় নির্মাণ হবে। তার জন্য অর্থবরাদ্দ করা হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।

Advertisement

গত বছর বাঁকুড়া জেলায় ‘নির্মল বাংলা’ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। সমীক্ষায় চিহ্নিত প্রায় ৪ লক্ষ ২২ হাজার পরিবারকে ওই প্রকল্পে শৌচালয় গড়ে দেওয়া হয়। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় বাঁকুড়াকে ‘নির্মল জেলা’ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। সাফল্য অর্জন করায় জেলা প্রশাসন কেন্দ্রের থেকে পুরস্কারও পায়।

জেলাশাসক বলেন, “নতুন করে যে পরিবারগুলির জন্য শৌচালয় নির্মাণ করা হবে, তাদের নাম প্রকল্পের উপভোক্তাদের তালিকায় ছিল না। আমরা ফের শৌচালয়বিহীন পরিবারগুলিকে চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছিলাম।” আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই নতুন ওই শৌচালয়গুলির নির্মাণকাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।

Advertisement

শুধু শৌচালয় গড়ে দেওয়াই নয়, তা ব্যবহারে মানুষকে সচেতন করতে আগামী ছয় সপ্তাহ ধরে প্রশাসনের তরফে লাগাতার প্রচার চালানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। প্রশাসন সূত্রের খবর, খোলা যায়গায় শৌচকর্ম করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়েও আলোচনা হবে।

শৌচালয় নির্মাণ প্রকল্পে বাঁকুড়া কেন্দ্রীয় পুরস্কার পেলেও খোলা জায়গায় শৌচকর্ম এখনও জেলায় সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করা যায়নি বলেই খবর। তাই শৌচালয় ব্যবহারে বাধ্য করা নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আগে খোলা জায়গায় শৌচকর্ম বন্ধ করতে গ্রামে-গ্রামে প্রচারে বেরিয়েছিলেন খোদ জেলাশাসক এবং জেলার অন্য আধিকারিকেরা। সেই সময় প্রকাশ্যে শৌচকর্ম অনেকটাই বন্ধ হয়েছিল। অভিযোগ, ফের প্রকাশ্যে শৌচকর্ম করতে দেখা যাচ্ছে বহু জায়গায়। বাঁকুড়া শহরে গন্ধেশ্বরী নদীর তীরে এবং দ্বারকেশ্বরের চরে প্রায় রোজই শৌচকর্ম করতে দেখা যায়। নদীর পাড়ে হাঁটতে অসুবিধায় পড়ে মানুষ। অভিযোগ, বাড়িতে শৌচালয় থাকা সত্ত্বেও অনেকেই খোলা যায়গায় শৌচকর্ম করেন।

পরিবেশ কর্মী জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘শুধু শৌচালয় তৈরি করে দিলেই হয় না। শৌচালয় ব্যবহারে বাধ্য করার জন্য প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে হয়। সচেতনতার প্রচারও যথেষ্ট নয়।’’ জেলাশাসক বলেন, “ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরে আগামী ছ’সপ্তাহ শৌচালয় ব্যবহার নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে নানা পদক্ষেপ করা হবে।” খোলা জায়গায় শৌচকর্মের ক্ষতি সম্পর্কেও তাঁদের সচেতন করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন