Sainthia Railgate activation

চালু হয়নি রেলগেট, পিছোল রেলসেতু ভাঙা

সেতু তৈরির সময়ে বিকল্প রাস্তা হিসেবে পুরসভার তৈরি করা বাইপাস ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই রাস্তায় একটি রেলগেটও বসিয়ে দেয় রেল।

Advertisement

অর্ঘ্য ঘোষ

ময়ূরেশ্বর শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:২১
Share:

পিছিয়ে গেল রেলব্রিজ ভাঙার কাজ। ছবি: কল্যাণ আচার্য

বেশ কিছু দিন আগেই সাঁইথিয়ায় বাইপাসে রেলগেট নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। তার পরে দু’বার সেই রেলগেটের উদ্বোধন পিছিয়ে গেল। ফলে, অনির্দিষ্টকালের জন্য সাঁইথিয়া রেলসেতু ভাঙার কাজও পিছিয়ে গিয়েছে।

Advertisement

প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দিকেশ্বরীতলা সংলগ্ন সঙ্কীর্ণ রেলসেতুটি দীর্ঘদিন ধরেই বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তা সত্ত্বেও বিপদের ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল চলছে। লেগে রয়েছে যানজটও। এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি সেতুটির পুনর্নির্মাণের। সেই দাবি মেনে সেতু পুনর্নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছে রেল দফতর।

সেতু তৈরির সময়ে বিকল্প রাস্তা হিসেবে পুরসভার তৈরি করা বাইপাস ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই রাস্তায় একটি রেলগেটও বসিয়ে দেয় রেল। ঠিক হয় কয়েক দিন ওই রাস্তাটি দিয়ে যানবাহন-সহ পথচারীরা চলাচলে অভ্যস্ত হয়ে ওঠার পরে পুনর্নির্মাণের জন্য সেতু ভাঙার কাজ শুরু হবে। সেই মতো ৬ এবং ১৩ ডিসেম্বর— এই দু’দিন ওই রেলগেট চালু করার কথা ছিল। কিন্তু আজও তা চালু করতে পারেনি রেল। এর ফলে রেলসেতু ভাঙার কাজও স্থগিত হয়ে গিয়েছে। সমাধান সূত্র খোঁজার জন্য বৃহস্পতিবার স্থানীয় রবীন্দ্রভবনে রেল, পুরসভা, জেলাপ্রশাসন, সমস্ত রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী সমিতি, ক্লাব, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং স্কুল, কলেজের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে জেলাশাসক বিধান রায়, জেলার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) কৌশিক সিংহ, বিধায়ক নীলাবতী সাহা, সাঁইথিয়ার স্টেশন ম্যানেজার পুলক রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেও কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি।

Advertisement

রেল দফতরের একটি সূত্রে জানাচ্ছে, প্রশাসন অনুমতি না দেওয়ায় সেতু ভাঙার কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। স্থানীয় পুরসভার পক্ষ থেকে আবার দাবি করা হয়েছে, রেলগেট চালু না হওয়ায় সেতু ভাঙার অনুমতি দেওয়া হয়নি। যদিও প্রশাসনেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সামনে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তাই প্রশাসনও সেতু ভাঙার ব্যাপারে ধীরে চলার নীতি নিতে চাইছে।

পাশাপাশি, এখনও সেতু পুনর্নির্মাণের দরপত্রই ডাকা হয়নি বলে রেলসূত্রের খবর। স্বাভাবিক ভাবেই ভাঙার পরে পুনর্নির্মাণে দীর্ঘসূত্রতার আশঙ্কাও রয়েছে। পুরসভার দাবি, তা হলে জনজীবন ব্যাহত হয়ে পড়বে। কারণ, শহরের একমাত্র সড়ক-সেতুটিতেও বেহাল। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ভারী যান চলাচল বন্ধ। এই জটিলতায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় হাই স্কুলের প্রতিনিধি হিসেবে ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, প্রশান্ত পাল। তাঁরা বলেন, ‘‘সেতুটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমরা চাই, রেল এবং প্রশাসন ঐক্যমতে পৌঁছে যত দ্রুত সম্ভব রেলসেতু পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করুক।’’

পুরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব দত্ত বলেন, ‘‘বৈঠকে স্থির হয়েছে রেল বাইপাসের উপরে রেলগেটটি চালু করার কয়েক দিন পরেই সেতু ভাঙার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক অনুমতি দেওয়া হবে।’’ অন্য দিকে, সাঁইথিয়ার স্টেশন ম্যানেজার বলেন, ‘‘রেলগেট নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। সম্ভবত কোনও টেকনিক্যাল কারণে উদ্বোধন আটকে আছে। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।’’

অন্নপ্রাশন দিবস

মহম্মদবাজার: স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প বিভাগের উদ্যোগে শুক্রবার মহম্মদবাজার ব্লকের গণপুর পঞ্চায়েতের ম্যানেজারপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পালিত হল অন্নপ্রাশন দিবস। এ দিন দু’টি শিশুর মুখে ভাত তুলে দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহম্মদবাজার থানার মহিলা অফিসার ডলি মণ্ডল, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কো-অর্ডিনেটর হৃদয়কুমার সিংহ এবং দশটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন