purulia

রেলগেট বন্ধ না করেই ফিরে গেলেন কর্তৃপক্ষ

মঙ্গলবার রাত ১১.২০ নাগাদ বাঁশলৈ স্টেশনের মাকুয়া রেলগেটের কাছে ওই ঘটনা ঘটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুরারই শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৪১
Share:

রেলগেটের সামনে জমায়েত। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

রাতের অন্ধকারে রেলগেট বন্ধ করতে এসে গ্রামবাসীর বাধায় সেই কাজ না করেই ফিরতে হল রেলের কর্তা ও আরপিএফকে। মঙ্গলবার রাত ১১.২০ নাগাদ বাঁশলৈ স্টেশনের মাকুয়া রেলগেটের কাছে ওই ঘটনা ঘটে।
এমনিতেই মঙ্গলবার বাঁশলৈ মহুরাপুর রেলগেটের কাছে অবরোধ করা হয়। পূর্ব রেলের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছিল, রেলের খাতায় মাকুয়া গ্রামে রেললাইনের ওপর কোনও রেলগেট নেই। এলাকাবাসীরা নিজেরাই রেল লাইন দিয়ে যাতায়াত করেন। আর গ্রামবাসীর দাবি, আন্ডারপাশের জন্য ও স্থায়ী প্রহরী সহকারে গেটের জন্য দীর্ঘদিন ধরে রেল দফতরে আবেদন জানিয়ে আসছেন। এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার রাতে গেট বন্ধ করার জন্য রেলকর্মীরা এলে কয়েকটি গ্রামের হাজার খানেক মানুষজন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন, রাতের অন্ধকারে রেলগেট বন্ধ না করার। তাঁদের যুক্তি, এই রেলগেট দিয়ে ৪০টির বেশি গ্রামের মানুষজন যাতায়াত করেন। সকলে অসুবিধায় পড়ে যাবেন। প্রায় এক ঘণ্টা পরে রেল কর্তৃপক্ষ এলাকা থেকে চলে যান।
গ্রামের বাসিন্দা মফিজুল শেখ, হাসনাত আলিরা বলেন, ‘‘আন্ডারপাশ না তৈরি করে গেট বন্ধ কিছুতেই করতে দেব না। তাতে আমরা সবাই বিপদে পড়ে যাব।’’ তৃণমূলের মুরারই ১ ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ বলেন, ‘‘সাংসদ শতাব্দী রায়ের কাছে আন্ডারপাস তৈরির অনুমতির চিঠি আছে। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা সাতদিন সময় চেয়ে নিয়েছি। আন্ডারপাশ নির্মাণের পরে রেলগেট বন্ধ করে দিলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন