স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজল জেলা

টানা গরমে সাময়িক ছেদ। রবিবার বিকেলে ঝড়বৃষ্টি হল জেলার নানা প্রান্তে। ঝড়ের মাঝেই ময়ূরেশ্বরের বাজিতপুর গ্রামে মাথায় গাছ পড়ে মৃত্যু হল এক দিনমজুরের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবরাজপুর ও ময়ূরেশ্বর শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৭ ০২:১১
Share:

ঝড়: হঠাৎ মেঘে অন্ধকারে ঢাকল সিউড়ির আকাশ। রবিবার বিকেলে। নিজস্ব চিত্র

টানা গরমে সাময়িক ছেদ। রবিবার বিকেলে ঝড়বৃষ্টি হল জেলার নানা প্রান্তে। ঝড়ের মাঝেই ময়ূরেশ্বরের বাজিতপুর গ্রামে মাথায় গাছ পড়ে মৃত্যু হল এক দিনমজুরের। লক্ষ্মণ বাগদি (৫৩) নামে ওই ব্যক্তি ঝড়ের সময়ে মাঠে কাজ করছিলেন।

Advertisement

এ দিন বৃষ্টি হয়েছে দুবরাজপুর, বোলপুর, সিউড়ি, রামপুরহাট, নলহাটি, মাড়গ্রাম-সহ নানা বিস্তৃীর্ণ এলাকায়। আকাশ কালো করে মেঘ। তারপরে দমকা হওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। স্বস্তি মিললেও গাছ ভেঙে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুবরাজপুর, সিউড়িতে বিকেল সাড়ে চারটে থেকে তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। পাঁচটা থেকে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে চলে প্রায় চল্লিশ মিনিট। বোলপুর ও রামপুরহাটে বৃষ্টি শুরু হয় তার কিছু পরে। তবে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মেঘাচ্ছন্ন আকাশ হালকা বৃষ্টি থেকেছে কোথাও কোথাও।

সামুদ্রিক হাওয়ায় কিছু দিন আগে তাপমাত্রা কমেছিল। কিন্তু গত সোমবার থেকে তাপমাত্রার পারদ চড়ছিল। তাপমাত্রা ফের পৌঁছে গিয়েছিল ৪০ ডিগ্রিতে। আবহাওয়া দফতরের তথ্য বলছে, রবিবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি। আপেক্ষিক আদ্রতা বেশি থাকায় প্রবল অস্বস্তি হচ্ছিল বাইরে বের হতে। শনিবার বিকালের শিলাবৃষ্টি দিনভর প্রখর দাবদহে সাময়িক স্বস্তি দিয়েছিল সিউড়ির বাসিন্দাদের। শিকে ছেঁড়েনি জেলার অন্য অংশের মানুষের ভাগ্যে। তবে, রবিবার বিকালের কালবৈশাখী বঞ্চিত করেনি জেলার অন্য অংশকে।

Advertisement

বৃষ্টি সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিলেও, ঝড়-বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে বলে মনে করছেন জেলার কৃষি আধিকারিকেরা। কৃষি কর্তারা বলছেন, এই সময় বোরো ধান মাঠে। ধানে শিষ ধরেছে। ঝড়ে মাটিতে নুইয়ে পড়লে ধানের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনা প্রচুর। ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে গ্রীষ্মকালীন সব্জি ঢ্যাঁড়শ, পটল, কুমড়ো ও শাকজাতীয় ফসলের।

জেলাবাসী বলছেন, রেহাই মিলেছে গরমের হাত থেকে এটাই অনেক। ঝড়ে গাছ পড়ে, বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে দুবরাজপুর, সিউড়ি-সহ নানা অংশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন