ডাক্তার নেই, পরিদর্শনে দল

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দুই প্রতিনিধি জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল হকিকত দেখতে দু’দিনের সফরে এসেছিলেন। তাঁরা পুরুলিয়া সদর হাসপাতাল, বাঘমুণ্ডি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও অযোধ্যা পাহাড়ের হিলটপে অবস্থিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:০৪
Share:

অযোধ্যা পাহাড়ে। নিজস্ব চিত্র

অযোধ্যা পাহাড়ের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে চিকিৎসকের দেখা পেলেন না জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। একই সঙ্গে পুরুলিয়া সদর হাসপাতাল ও বাঘমুণ্ডি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবস্থা দেখেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দুই প্রতিনিধি জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল হকিকত দেখতে দু’দিনের সফরে এসেছিলেন। তাঁরা পুরুলিয়া সদর হাসপাতাল, বাঘমুণ্ডি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও অযোধ্যা পাহাড়ের হিলটপে অবস্থিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন।

প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকালে অযোধ্যা হিলটপের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা দেখেন, সেখানে চিকিৎসক নেই। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের জানান, ওই চিকিৎসক ছুটিতে গিয়েছেন। পরিবর্তে কোনও চিকিৎসক নেই। চিকিৎসক না পেয়ে তাঁরা অবাক হন।

Advertisement

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার মুকেশ বলেন, ‘‘অযোধ্যা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে আমরা চিকিৎসককে পাইনি। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার এক মাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে অবাক হয়েছি।’’ তিনি জানান, পুরুলিয়া সদর হাসপাতালও তাঁরা পরিদর্শনে যান। সেখানে তাঁরা দেখেন, এক একটি শয্যায় চার জন পর্যন্ত বসে রয়েছেন। ওয়ার্ডের ভিতরে প্রচুর লোকজনের ভিড় রয়েছেন। হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভিতরে এই অবস্থা দেখে কার্যত চোখ কপালে ওঠে তাঁদের। মুকেশ বলেন, ‘‘এই সফরে আমরা বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালও পরিদর্শন করেছি। সেখানেও ওয়ার্ডের ভিতরে প্রচুর লোকজন ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বাঘমুণ্ডি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেরও অবস্থা বেহাল।’’

বৃহস্পতিবার বিকালে কেন চিকিৎসক ছিলেন না? শুক্রবার সরেজমিনে তা খতিয়ে দেখতে পাহাড়ে যান বাঘমুণ্ডির বিএমওএইচ অমরেন্দ্র রায়। এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ অযোধ্যা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েও এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের দেখা পাননি তিনি। বিএমওএইচ বলেন, ‘‘নার্স রোগী দেখছিলেন। চিকিৎসক ছুটিতে গিয়েছেন।’’

জ্বর নিয়ে আসা সনৎ মাহাতো বলেন, ‘‘ডাক্তারবাবুকে পেলাম না। নার্স দেখলেন।’’ একই কথা অযোধ্যার বাসিন্দা চৈতন মুড়ারও। বিএমওএইচ বলেন, ‘‘দু’দিন ধরে চিকিৎসক আসেননি। অযোধ্যা স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি সরাসরি জেলা থেকে পরিচালিত হয়। আমার কাছে তিনি ছুটি নেননি।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিলকুমার দত্ত বলেন, ‘‘অযোধ্যা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ছুটিতে গিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। কাউকে না জানিয়ে তিনি কী ভাবে ছুটিতে গেলেন তা খোঁজ
নিয়ে দেখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন