প্যারেডে প্রথমবার মহিলা কমান্ডার

নাচে-গানে, বৃক্ষরোপণে পালিত প্রজাতন্ত্র দিবস

জেলায় সাড়ম্বরে পালিত হল প্রজাতন্ত্র দিবস। এ বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে বিশ্বভারতীর ইতিহাসে প্রথমবার মহিলা কমান্ডার ছিলেন। এক জন মহিলার কমান্ডে প্রায় ৪০০ জন প্যারেড করেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন 

বীরভূম শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:০৫
Share:

বিশ্বভারতীতে চলছে প্যারেড। ছবি: দেবস্মিতা চট্টোপাধ্যায়

জেলায় সাড়ম্বরে পালিত হল প্রজাতন্ত্র দিবস। এ বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে বিশ্বভারতীর ইতিহাসে প্রথমবার মহিলা কমান্ডার ছিলেন। এক জন মহিলার কমান্ডে প্রায় ৪০০ জন প্যারেড করেন। মহিলা কমান্ডার মিনতি মাণ্ডি বিশ্বভারতীর বিদ্যাভবনের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী। বিশ্বভারতীর এনসিসির কোম্পানি কমান্ডার অভিজিৎ থানদার জানান, এ ছাড়াও এ বছর মহিলা এবং শিশুদের জন্য আলাদা ফ্ল্যাগ এরিয়া বানানো হয়েছিল। এই উদ্যোগও এ বারই প্রথম।

Advertisement

বিশ্বভারতী নিরাপত্তা বিভাগের ফ্যাকাল্টি-ইন-চার্জ অশোককুমার গুণ জানান, এ বারই প্রথম বিশ্বভারতীর চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তাকর্মীদের একটি দল প্যারেডে যোগ দেয়। ২৬ জানুয়ারি বিনয়ভবন মাঠে পতাকা উত্তোলন সহ সমগ্র অনুষ্ঠানটি হয়। উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, পিএসএনএস ডিরেক্টর নারায়ণচন্দ্র মণ্ডল সহ আরও অনেকে। শনিবার মাঘোৎসব উপলক্ষে কর্মী পরিষদের উদ্যোগে সন্ধ্যায় আলোকসজ্জা ও বিশেষ মন্দিরের আয়োজন করা হয়।

নানা অনুষ্ঠানে ময়ূরেশ্বরের উলকুণ্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস। ছিলেন শিক্ষানুরাগী হীরেন্দ্রনাথ রায়, চন্দন মণ্ডল প্রমুখ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুকুমার গড়াই জানান, অভিভাবক-অভিভাবিকারাও যোগ দেন। নাচ-গান সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয় লাভপুরের ইন্দাস প্রাথমিক বিদ্যালয়েও। সহকারি শিক্ষক শুভেন্দু মণ্ডল জানান, ছাত্রছাত্রীদের সামনে প্রজাতন্ত্র দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়। এনসিসি ক্যাডেটদের নিয়ে পথ পরিক্রমার মাধ্যমে প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয় কীর্ণাহার শিবচন্দ্র হাইস্কুলে। ওই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক মদনকুমার বিশ্বাস জানান, একটি দেওয়াল পত্রিকাও প্রকাশিত হয়েছে।

Advertisement

শনিবার সকালে বোলপুর ডাকবাংলো ময়দানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বোলপুরের মহকুমাশাসক অভ্র অধিকারী। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে ছিল সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী, মহিলা পুলিশ বাহিনী, সিভিক এবং কনস্টেবল বাহিনী, বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরুষ এবং মহিলা দু’টি দল সহ একাধিক স্কুল ও কলেজ। এ ছাড়াও রাখা হয়েছিল ট্যাবলো। ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে বিদ্যালয়ের বার্ষিক উৎসব উদযাপিত হয়। উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর শিক্ষাসএের অধ্যাপক কৃষ্ণেন্দু দে সহ অনেকেই।

বোলপুরের ঐকতান সংস্থাও প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করে। সংস্থার সদস্যরা কোপাইয়ের কাছে শীতলপুর ডাঙ্গা আদিবাসী গ্রামে এক আদিবাসী মহিলা লক্ষ্মী সরেনকে হুইল চেয়ার দেন। সংস্থার সম্পাদিকা সাহানা পারভীন ও সভাপতি ঈপ্সিতা সাহা জানান, দুঃস্থ শিশুদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। বাল্যবিবাহ ও শিশু সুরক্ষা নিয়ে সচেতনতা শিবির করে বাতিকার মনসামাতা তরুণ সঙ্ঘের সদস্যরা। সঙ্ঘের উদ্যোগে বাল্যবিবাহ এবং শিশু সুরক্ষা সম্বন্ধে সচেতনতামূলক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়েছিল। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে যারা ভাল ফল করেছে, তাদের হাতে সংবর্ধনা তুলে দেওয়া হয় সংস্থার পক্ষ থেকে।

ক্রীড়া-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয় নানুর চণ্ডীদাস স্মৃতি সাধারণ পাঠাগারেও। উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যকর্মী অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়, সফিউর রহমান, নির্মলচাঁদ রায়, গ্রন্থাগারিক অনিতা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। অন্য দিকে রক্তদান, ধূমপান-বর্জন, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকা, বৃক্ষরোপণ সহ বিভিন্ন ধরণের সচেতনতা মূলক প্রচার অভিযানের মাধ্যমে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ। নাচ-গান সহ নানা অনুষ্ঠান হয় নানুরের মণিমেলার উদ্যোগে।

মহম্মদবাজারের হিংলো পঞ্চায়েতের চন্দ্রপুর গ্রামে শনিবার বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির হয়। উপস্থিত ছিলেন মহম্মদবাজার তৃণমূলের কার্যকারী সভাপতি কালীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়, হিংলো পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শিবদাস দাস, বামদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, তন্ময় মণ্ডল প্রমুখ। এ দিন চন্দ্রপুর গ্রাম সহ আশেপাশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের অনেকে এখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে আসেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন