Satabdi Roy

দুই ব্লকে জোর শাসক দলের, কথা শুনতে যাবেন শতাব্দী

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুরে সোম ও মঙ্গলবার  দুবরাজপুর ও খয়রাশোল এই দু’টি ব্লকের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শতাব্দী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:১৮
Share:

তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। — ফাইল চিত্র।

সংগঠন মজবুত করতে প্রয়োজনে বুথে বুথে যাওয়া ও কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা জানালেন জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির অন্যতম সদস্য তথা সাংসদ শতাব্দী রায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, খয়রাশোল ও দুবরাজপুরের নেতাদের এমন বার্তাই দিয়েছেন শতাব্দী।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুরে সোম ও মঙ্গলবার দুবরাজপুর ও খয়রাশোল এই দু’টি ব্লকের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শতাব্দী। সেখান উপস্থিত ছিলেন দলের ব্লক সভাপতি, ব্লক কমিটির সদস্যরা, শাখা সংগঠনের প্রধান, অঞ্চল ও বুথ সভাপতিররা। প্রতিটি অঞ্চল ধরে ধরে হালহকিকত পর্যালোচনা করার পর দলের সাংগঠনিক দূর্বলতা আঁচ করেই নেতাদের শতাব্দী ওই প্রস্তাব দেন বলে জানা গিয়েছে। এর সত্যতা মেনে নিয়েছেন শতাব্দী নিজেও। তিনি বলেন, ‘‘এ কথা তো অস্বীকার করে লাভ নেই দুবরাজপুর বিধানসভায় আমাদের বিধায়ক নেই। আমি গিয়ে দলের কর্মীদের সঙ্গে বসলে আশা করি তাঁরা সক্রিয় হবেন। একসঙ্গে কাজ করবেন। সে জন্যই আমি এ কথা বলেছি।’’

তৃণমূল নেতারাও মানছেন, ওই এলাকা নিয়ে উদ্বেগের কারণও রয়েছে। বিজেপির দখলে থাকা ওই বিধানসভা কেন্দ্রের এলাকার মধ্যে দুবরাজপুরের ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত, একটি পুরএলাকা এবং খয়রাশোলের ১০টি পঞ্চায়েত এলাকা রয়েছে। গত বছর দুবরাজপুর পুরসভা নির্বাচনে শাসক দল ক্ষমতা দখল করলেও কাঁটা পঞ্চায়েত এলাকাগুলির সাংগঠনিক দূর্বলতা।

Advertisement

গত বিধানসভার নিরিখে দেখলে খয়রাশোল ব্লকের ১০টি পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে ৬টিতেই বিজেপির তুলনায় অনেক পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। সংগঠন মেরামতের চেষ্টা চললেও আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঠিক কী হবে, সেটাই বড় প্রশ্ন শাস কদলের অন্দরে। দুবরাজপুরের ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের চারটিতেই পিছিয়ে ছিল শাসক দল। সেই ফলের পুনরাবৃত্তি ঘটে কি না সময় বলবে। তবে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে এসে একাধিক জায়গায় মানুষের অভাব-অভিযোগ-ক্ষোভ-বিক্ষোভ টের পেয়েছেন দূতেরা। তৃণমূলের অন্দরের খবর, সে জন্যই এই দুই ব্লককে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা ভাবছে দল।

তৃণমূল নেতাদের অনেকেই দাবি করছেন, সম্প্রতি বীরভূম সফরে এসে বোলপুরে দলের বাছাই নেতাদের সঙ্গে বৈঠকেও এই এলাকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই শতাব্দীর ওই বার্তায় পরিস্থিতির আঁচ মিলেছে। তবে তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা দাবি করছেন, পরিস্থিতি অনেক বদলেছে। খয়রাশোল ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী ও দুবরাজপুর ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্র দু’জনেই বলছেন, ‘‘সাংসদ বুথে বুথে আসবেন বলেছেন। তিনি এলে সংগঠন আরও মজবুত হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন