চালকের ছেলের হাতে স্টিয়ারিং

বোলপুরে স্কুলগাড়ি উল্টে জখম ১৩

বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের পড়ুয়া-বোঝাই একটি গাড়ি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। জখম হয় ১৩ জন পড়ুয়া। তাঁদের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:৪২
Share:

সহমর্মী: স্কুলগাড়ি দুর্ঘটনায় জখম পড়ুয়াদের খোঁজ নিতে হাসপাতালে জেলাশাসক।

মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদের বাস দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই দুর্ঘটনার আতঙ্ক ছড়াল জেলায়। তবে বৃহস্পতিবার বরাতজোরে বাঁচল একটি স্কুলগাড়ির সওয়ারিরা। দিনতিনেক আগে, ৫ ফেব্রুয়ারি কীর্ণাহারেও বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা লেগে বাস উল্টে বিপত্তি ঘটেছিল।

Advertisement

গত কালই বেসরকারি স্কুলের স্কুলগাড়ির চালকদের নিয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠক হয়। সেখানে চালকদের গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা না বলতে বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হয়েছিল। বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই স্কুলগাড়ি দুর্ঘটনা ঘটল বোলপুরের মুলুকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের পড়ুয়া-বোঝাই একটি গাড়ি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। জখম হয় ১৩ জন পড়ুয়া। তাঁদের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Advertisement

গাড়িতে থাকা কয়েক জন পড়ুয়ার অভিযোগ, ওই স্কুলগাড়ির চালক এ দিন বোলপুরের মুলুকের আরতি সিনেমাতলার কাছে পৌঁছে গাড়ি থেকে নেমে যান। সেখানে অপেক্ষা করছিল তার ছেলে। সে-ই এরপর চালকের আসনে বসে। এক পড়ুয়ার কথায়, ‘‘স্টিয়ারিংয়ে বসেই ওর হাত কাঁপছিল। একটু এগিয়েই গাড়িটা রাস্তার ধারে একটা বিদ্যুতের খুঁটিতে গিয়ে জোরে ধাক্কা মেরে একদিকে উল্টে যায়। বিপজ্জনক ভাবে একটা হাইড্রেনের উপরে ঝুলতে থাকে।’’ এলাকাবাসী জানান, গাড়ির ধাক্কায় বিদ্যুতের খুঁটিটিও পাশের মাঠে উল্টে পড়ে। এলাকার লোকেরা গাড়িতে আটকে থাকা পড়ুয়াদের বের করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়লে বা বড় নর্দমায় গাড়িটি আটকালে প্রাণহানির আশঙ্কাও থাকত। অভিযুক্ত ওই চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে গাড়ির মালিক ও বৈধ চালক এখনও অধরা।

দুর্ঘটনাগ্রস্ত স্কুলগাড়ি।

দুর্ঘটনার খবর পেয়েই আহত পড়ুয়াদের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে দেখতে যান জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী ও মহকুমা শাসক শম্পা হাজরা। জেলাশাসক বলেন, ‘‘বুধবারই স্কুলগাড়ির চালকদের নিয়ে বৈঠক করা হল, তার পরই এমন ঘটনা হতাশাজনক। তদন্ত করা হচ্ছে।’’

দুর্ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকেরাও। তাঁদের অনেকের বক্তব্য— ‘বাচ্চাদের স্কুলগাড়িতে উঠিয়েও শান্তিতে থাকা যাবে না।’’ ছ-সাত বছরের বাচ্চারা রয়েছে জেনেও চালক এতটা অমানবিক কী করে হয়, সেটাই প্রশ্ন তাঁদের। অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।

নিজস্ব চিত্র

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন