বালির ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু শিক্ষকের

ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে মোটরবাইকে নিজের স্কুলে যাচ্ছিলেন এক শিক্ষক। পথে বালি ভর্তি ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল তাঁর। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর শহরের বাইপাসের উপর সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের কাছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৬ ০১:১১
Share:

দুর্ঘটনার পরে। বিষ্ণুপুর বাইপাসে।—নিজস্ব চিত্র

ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে মোটরবাইকে নিজের স্কুলে যাচ্ছিলেন এক শিক্ষক। পথে বালি ভর্তি ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল তাঁর। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর শহরের বাইপাসের উপর সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম মলয় সরকার (৩৫)। তিনি রাধানগর হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তাঁর বাড়ি বিষ্ণুপুর শহরের গোপেশ্বরপল্লি এলাকায়। তবে ট্রাক চালককে পুলিশ ধরতে পারেনি। ট্রাক ফেলে সে পালিয়েছে।

Advertisement

ঘটনার কথা জানাজানি হতেই থানায় নিয়ে আসা মৃতদেহটি দেখতে ভিড় জমান গোপেশ্বরপল্লির কিছু বাসিন্দা। আসেন রাধানগর হাইস্কুলের মলয়বাবুর সহকর্মীরাও। থানার সামনে গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদতে দেখা যায় মৃত শিক্ষকের বাবা অশোক সরকারকে। তিনি পাত্রসায়র থানার আখড়াশোলে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। অশোকবাবু বলেন, ‘‘মলয় তার পাঁচ বছরের ছেলেকে স্কুলে দিয়ে নিজের স্কুলে যাচ্ছিল। কিন্তু কী ভাবে যে বালিভর্তি ট্রাক যে ওকে ধাক্কা মেরে সব শেষ করে দিল, বুঝতে পারছি না। এমনটা হবে কখনও ভাবিনি। আমার ছেলের মৃত্যুর কঠিন শাস্তি চাই।’’

গোপেশ্বরপল্লিতে মলয়বাবুর বাড়িতে এ দিন দুপুরে গিয়ে দেখা গেল ঘরে তালা। প্রতিবেশীরা জানান, ঘটনার কথা মৃত শিক্ষকের স্ত্রী মৌসুমীদেবীকে জানানো হয়নি। আত্মীয়েরা তাঁকে কোথাও সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের ক্ষোভ, বালি নিয়ে গাড়িগুলি দ্রুত গতিতে চলাচল করছে। কোথাও কোথাও সকাল থেকে রাস্তার দু’পাশে বালির গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এরফলে সংকীর্ণ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা আরও সমস্যার হয়ে উঠছে। বিশেষত রাস্তার বাঁকে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা আরও বাড়ছে। এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারীদের ক্ষোভ, পুলিশ ও প্রশাসনের এ দিকে নজর নেই। সেই সুযোগেই বালির গাড়ি নিয়ে যথেচ্ছাচার চলছে। মাস কয়েক আগে বিষ্ণুপুর ব্লকেরই অযোধ্যা হাইস্কুলের এক শিক্ষক এ ভাবেই ট্রাক চাপা পড়ে মারা যান। তবু টনক নড়ছে না প্রশাসনের।

Advertisement

বিষ্ণুপুর থানায় মৃত শিক্ষকের সহকর্মী রঞ্জিত ষন্নিগ্রহী বলেন, ‘‘মলয় অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন। খুব সাবধানে মোটরবাইক চালাতেন। হেলমেট পরতেন। এ দিনও তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল। তাঁকেও এ ভাবে দুর্ঘটনায় পড়তে হবে ভাবা যায় না।’’ মলয়বাবুর সহকর্মীদেরও দাবি, দ্রুত গতিতে চলা বালি ভর্তি ট্রাকগুলির নিয়ন্ত্রণ দরকার। পুলিশ জানিয়েছে, ট্রাক আটক করা হয়েছে। চালকের খোঁজ চালানো হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন