কড়াকড়ি: নজরদারি খতিয়ে দেখছেন এসপি কোটেশ্বর রাও। ছবি: শুভেন্দু তন্তুবায়
জঙ্গলমহল এলাকাতে গত কয়েক মাস ধরেই বেড়েছিল পুলিশি সক্রিয়তা। টহলদারি বাড়ানো হয়েছিল। ভোটপর্বে টহলদারি যে আরও বাড়ানো হবে, সাংবাদিক বৈঠকে তা জানিয়েছিলেন পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও। রবিবার ভোট ঘোষণার পর মঙ্গলবার থেকে রাস্তায় ক্লোজ্ড সার্কিট ক্যামেরা বসিয়ে জেলায় ১০ টি জায়গায় শুরু হলো নাকা তল্লাশি।
এদিন দুপুর ১টা নাগাদ বাঁকুড়ার বারিকুল থানার ঝিলিমিলির পোড়াডি মোড় সংলগ্ন জায়গায় পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম জেলার সংযোগকারী রাস্তায় সিসিটিভি বসিয়ে নাকা তল্লাশি শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও, এসডিপিও (খাতড়া) বিবেক বর্মা, বারিকুলের ওসি-সহ ঝিলিমিলি ফাঁড়ির পুলিশকর্মীরা। পুলিশ সুপার বলেন ‘‘জঙ্গলমহলের বারিকুলের পোড়াডি মোড়, সিমলাপাল, সারেঙ্গা, মেজিয়া, শালতোড়া, ছাতনা, বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর এবং ইন্দাস-সহ মোট ১০ টি জায়গায় সিসিটিভি বসিয়ে নাকা চেকিং শুরু হয়েছে। জেলার সীমান্ত এলাকায় দিনরাত এই নজরদারি চলবে লোকসভা ভোট পর্যন্ত।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এক সময় জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকা উত্তপ্ত ছিল। সেই কারণেই জঙ্গলমহলের উপরে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। টহলদারি বাড়ানো এবং তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে।"
ঝিলিমিলি- বান্দোয়ান রাস্তায় পোড়াডি মোড়ের চেক পোস্টে দাঁড়িয়ে এদিন বেশ কিছু মোটরবাইক এবং ছোট গাড়িতে তল্লাশি চালান পুলিশসুপার। তারপর বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম সীমান্তবর্তী জরমহুল গ্রামে বর্তমান অবস্থার খোঁজখবর নেন তিনি। জরমহুলের উত্তর প্রান্ত বাঁকুড়া জেলার বারিকুলের অন্তর্গত। দক্ষিণ প্রান্ত পড়ে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি থানা এলাকায়। জরমহুল-সহ যে গ্রামগুলি এক সময় অশান্ত হয়ে উঠেছিল, সেখানকার অনেকের বাড়ি যান কোটেশ্বর। বহিরাগতরা এলাকায় ঢুকছে কি না, তা জানতে চান পুলিশ সুপার। কেউ গ্রামে ভীতি প্রদর্শন করছে কি না তা-ও জানতে চান। গ্রামবাসীদের নানা সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে খোঁজখবর নেন কোটেশ্বর। জরমহুল গ্রামের বাসিন্দা তারাপদ টুডু, মানিকরাম টুডু, নিলিমা মড়া, বকুল মুড়ারা বলেন, ‘‘গ্রামে পুলিশ এসেছিল। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। এখন কোনও রকম অশান্তি আছে কি না, তা জানতে চেয়েছেন। বাইরের লোকজনও কেউ গ্রামে আসে কি না, সেই খোঁজখবর নিয়েছেন।’’ তাঁরা জানিয়েছেন, এখন গ্রামে কোনও অশান্তি নেই। সরকারি বিভিন্ন পরিষেবাও তাঁরা যাচ্ছেন। পানীয় জলের পাইপ বসানোর কাজ হচ্ছে গ্রামে।