Water crisis

মিলছে না জল, মিড-ডে মিল রান্নায় সমস্যা

সম্প্রতি রামপুরহাট ১ ব্লকের জয়রামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন এলাকার বিধায়ক তথা ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৩৬
Share:

জলের অভাবে হচ্ছে না রান্না। প্রতীকী চিত্র।

কোথাও স্কুলের ভিতরে থাকা নলকূপ খারাপ। কোথাও আবার সৌরবিদ্যুৎ চালিত পানীয় জলের ব্যবস্থা বেহাল। এলাকার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই পানীয় জলের অভাবে প্রভাব পড়েছে মিড-ডে মিলে। বাইরে থেকে জলের সংস্থান করে রান্না করতে হচ্ছে। রামপুরহাট ১ ব্লকের বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এলাকার অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে এ নিয়ে আবেদনও জানিয়েছে। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক তা বিডিওকে জানিয়েছেন। বিডিও অফিস সূত্রে খবর, কয়েকটি স্কুলে সমস্যার সমাধান হয়েছে। অন্য জায়গায় দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি রামপুরহাট ১ ব্লকের জয়রামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন এলাকার বিধায়ক তথা ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাছে স্কুল কর্তৃপক্ষ পানীয় জলের সমস্যার কথা জানান। পাশাপাশি, রান্নাঘরের দুরবস্থার কথাও জানানো হয়। বিধায়ক সংশ্লিষ্ট জন স্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে এক দিনের মধ্যে পানীয় জলের সমস্যার সমাধান করেন। রান্নাঘরটি সারিয়ে দেওয়ারও আশ্বাস দেন।

রামপুরহাট ১ ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, রামপুরহাট থানার ছিটাসপুর, শেরপুর, কাঁদুরি, কামারহাটি, দক্ষিণ শিবপুর, সোঁয়াসা, বড়গাছিয়া, ফরিদপুর, আরজুনা, ভাবকি, ভেলাইপাথাড়ি, কানাইপুর, মাসড়া এই সমস্ত গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে বড়গাছিয়া, মাসড়া, কাঁন্দুরি এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির পানীয় জলের সমস্যা মিটেছে। ওই সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা বিডিও-র কাছে তা লিখিত ভাবে জানিয়েছেন।

Advertisement

জয়রামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক বর্ণালী দাস বলেন, ‘‘বিধায়ক তথা ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বিদ্যালয়ে এলে তাঁকে সমস্যার কথা জানিয়েছিলাম। তিনি সমাধান করেছেন। পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থাও করেছেন।’’ বিডিও (রামপুরহাট ১ ব্লক) দীপাণ্বিতা বর্মণ বলেন, ‘‘বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জলের সমস্যার জন্য মিড-ডে মিল রান্না করতে অসুবিধা হওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক দফতর থেকে জানানো হয়েছে। তার মধ্যে চার-পাঁচটি স্কুলে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। বাকিগুলিরও দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন