নারদ-নারদ
রবিবার বিকেল। দুবরাজপুরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের ঘাটগোপালপুর গ্রামে চলছে তৃণমূলের নির্বাচনী প্রচারসভা। ওই কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী নরেশচন্দ্র বাউড়ির সমর্থনে তখন মাইকে বক্তব্য রাখছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলে চলেছেন, ‘‘বন্ধু মমতা ব্যন্দ্যোপাধ্যায় তো সবুজ-সাথী সাইকেল দেওয়ার সময়ে এ কথা চিন্তা করেননি, এরা সিপিএম না বিজেপি না কংগ্রেস। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, খাদ্য-সুরক্ষায় দু’টাকা কিলো দরে মানুষ চাল পাচ্ছেন। এটা কী উন্নয়ন নয়?’’ নেতার গলা যত চড়ে সামনে উপস্থিত মহিলা-পুরুষ ও শিশুদের থিকথিকে ভিড়টা হাততালিতে ফেটে পড়ছে। তাই দেখে উচ্ছ্বসিত এক নেতা সংবাদমাধ্যমের দুই প্রতিনিধিকে ডেকে কানে কানে বলেই ফেললেন, ‘‘আরে এত নারদ-নারদ করছেন, মনে হয় তাতে এদের কিছু যায় আসে?’’ পাশ থেকে আর এক নেতার টিপ্পনি, ‘‘আরে কোনটা রাজ্য সরকারের প্রকল্প আ কোনটা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প, সেটাই বা কত জন বোঝেন!’’ দু’জনই হেসে লুটিয়ে পড়েন।
বিজয় রথ
টানা ছ’বার বিধায়ক হয়েছেন। একবারও তাঁর বিজয় রথ থামাতে পারেনি কেউ-ই। উঠতে বসতে দুবরাজপুরের ফব প্রার্থী সেই বিজয় বাগদিকে তৃণমূল যতই ‘বুড়ো বাঘ’ বলে কটাক্ষ করুক, লড়াই যে যথেষ্ট কঠিন মানছেন তৃণমূলের নেতারাও। তার উপরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বহরও কম নয়। বামদুর্গে আঘাত হানতে তাই প্রার্থী নিজে যত খাটছেন, ততটাই উদ্যোগ রয়েছে দলের তরফেও। প্রার্থী নরেশ বাউড়ির জন্যই রবিবার খয়রাশোল ও দুবরাজপুর মিলিয়ে ৯টি সভা করলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। প্রখর তাপকে উপেক্ষা করে দহল, বড়রা, হরিএকতলা, মসলিয়া গেরুয়াপাহাড়ি, কদমডাঙাও সালুঞি-সহ প্রত্যেকটি সভাতেই তৃণমূলকে জেতানোর আর্জি জানান সাংসদ।