গীতা-খুনে ধৃত জা-সহ ২

তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, কোনও আক্রোশবশত গীতাদেবীকে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪০
Share:

প্রতীকী ছবি

বিধায়কের আপ্ত সহায়কের মাকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তাঁর জা ও এলাকার একটি পাঁউরুটি কারখানার কর্মীকে। ধৃতেরা হল নিহত গীতা দাসের (৪৮) জা কৃষ্ণা দাস ও শরিফ খান। কৃষ্ণার বাড়ি বিষ্ণুপুরের কৃষ্ণগঞ্জে আর শরিফ ত্রসায়র থানার পদুয়া গ্রামের বাসিন্দা।

Advertisement

গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন কৃষ্ণগঞ্জের বাসিন্দা গীতা দাস (৪৮)। দু’দিন পরে স্থানীয় যমুনাবাঁধ লাগোয়া বিশ্বাসবাঁধে তাঁর দেহ মেলে। তাঁর শরীরে ক্ষতের চিহ্ন দেখে খুনের মামলা রুজু হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ বৃহস্পতিবার শরিফ ও কৃষ্ণাকে গ্রেফতার করে। সরকার পক্ষের আইনজীবী অভিজিৎ দে বলেন, ‘‘খুনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ ধৃত দু’জনকে আদালতে হাজির করে। বিচারক কৃষ্ণাকে ১৪ দিন জেল হাজতে পাঠান। শরিফকে সাত দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।’’

এ দিন তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, কোনও আক্রোশবশত গীতাদেবীকে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতের ছেলে তথা বিষ্ণুপুরের বিধায়কের আপ্ত সহায়ক মহাদেব দাস বলেন, ‘‘পুলিশ কিছু নির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়েছে বলেই কাকিমাকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু, আমার কাকিমা যে এমন কাণ্ড করবে ভাবিনি।’’

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিদিন খুব ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিশ্বাসবাঁধে স্নান সেরে মন্দিরে পুজো দিয়ে ফিরতেন গীতাদেবী। ২ সেপ্টেম্বর তিনি বের হলেও আর বাড়ি ফেরেননি। তল্লাশিতে সে দিন পুকুর থেকে গীতদেবীর গামছা পাওয়া যায়। ৪ সেপ্টেম্বর পুরসভার কর্মীরা ওই পুকুর থেকে জল বার হওয়ার পাইপে তাঁর দেহ দেখতে পান। শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় নিহতের ছেলে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয় বাসিন্দাররা জানান, খুব ভোরে উঠে স্নান করে পুকুর পাড়ে গাছ থেকে ফুল তুলে এলাকার আরাধ্য দেবতা লালজিউ মন্দিরে পুজো করা গীতাদেবীর বহু দিনের অভ্যাস। স্বামী প্রশান্ত দাসের খাবারের দোকান ছিল। মারা যাওয়ার পরে তসরের সুতো তৈরি করে ছেলে ও প্রতিবন্ধী মেয়েকে বড় করেছেন। নির্বিবাদী মানুষটিকে খুন করা হয়েছে শুনে অনেকেই তাই তাজ্জব হয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন