জেলা সদরে আসার কথা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সিউড়িতে জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত আন্তঃজেলা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে আসার সম্ভবনা উজ্জ্বল প্রাক্তন ভারত আধিনায়কের।
জেলা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিদ্যাসাগর সাউ জানিয়েছেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর ফাইনাল খেলায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। শুক্রবার এ ব্যাপারে সৌরভের সঙ্গে চূড়ান্ত কথাবার্তা হয়েছে বলে জানান তিনি। সিএবি সভাপতি ব্যস্ততার মধ্যেও খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করতে জেলায় আসছেন বলে খুশি জেলার ক্রীড়ামহল। বীরভূম স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সৌরভকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলেও জানান বিদ্যাসাগরবাবু।
এই প্রথমবার জেলায় আসছেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৬ সালে মহকুমা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে রামপুরহাটে এসেছিলেন তিনি। তাঁকে ঘিরে উন্মাদনা ছিল দেখার মতো। এ বারও তেমনটাই হবে আন্দাজ ডিএসএ-র। কারণ তিনি শুধু সিএবি-র সভাপতি নন, গোটা দেশের অন্যতম ক্রীড়া নক্ষত্র। খেলা থেকে অবসরের পরও তাঁর জনপ্রিয়তায় বিন্দুমাত্র ভাঁটা পড়েনি বলে জানান বিদ্যাসাগরবাবু। তিনি বলেন,‘‘সৌরভকে ঘিরে উন্মাদানা তৈরি হবে স্বাভাবিক। আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছি। জানানো হয়েছে জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকেও।’’ জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘খবরটা শুনেছি, তবে এখনও চিঠি পাইনি। পেলে প্রয়োজনীয় পুলিশ মোতায়েন থাকবে।’’
এই প্রথম সিএবি অনুমোদিত আন্তঃজেলা টি-টোয়েন্টি সিনিয়র ক্রিকেট প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে বীরভূম জেলা ক্রীড়া সংস্থা। মোট ১৮টি জেলা ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে। ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য স্তরের ওই প্রতিযোগিতা। ফলে টুর্নামেন্টকে ঘিরে শহরবাসীর উৎসাহ ছিল। সেটা আরও বেড়ে গিয়েছে নৈশালোকে জেলায় এই প্রথম ক্রিকেট টুর্নামেন্টের বেশ কয়েকটি ম্যাচ আয়োজিত হওয়ার জন্য। প্রতিযোগিতার প্রায় শেষ লগ্নে উত্তেজনার পারদ আরও চড়েছে। সেমিফাইনালে উঠেছে আয়োজক জেলা বীরভূমও। সন্ধ্যা থেকে খেলা দেখার জন্য রীতিমতো ভিড় হচ্ছে। ক্রিকেটপ্রেমীদের কথায়, ‘‘খুশি আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে, যদি খোদ সৌরভ এখানে আসেন।’’ ডিএসএ সূত্রের খবর, সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ সিউড়ির জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে আসবেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।
তবে শুধু মাত্র টি-টোয়েন্টি আন্তঃজেলা ক্রিকেট ফাইনালে জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে ও খোলোয়াড়দের উৎসাহিত করাই নয় সৌরভের সিউড়ি আসার পিছনে অন্য সমীকরণও খুঁজে পাচ্ছেন কেউ কেউ। ডিএসএ-র অনেকের দাবি, সমানেই সিএবির নির্বাচন। বীরভূমে ফাইনাল খেলায় আমন্ত্রিত হয়েছেন ১৮টি জেলার ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদকেরা। প্রত্যেকেরই আসার কথা রয়েছে। নির্বাচনের আগে একসঙ্গে এত জন জেলা ক্রীড়া সম্পাদকদের সঙ্গে দেখা হওয়াটাও সৌরভের সিউড়ি আসার পিছনে অন্যতম কারণ হতে পারে। তবে কারণ যা-ই হোক, সৌরভকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ ছাড়াতে রাজি নন জেলার ক্রিকেটপ্রেমীরা।