প্রতি মাসে রামপুরহাট কলেজের বিদ্যুৎ বিল আসে আসে গড়ে ২০–৩০ হাজার টাকা। এ বার সেই বিল সাশ্রয় করতে কলেজে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করা হল।
সোমবার সকালে সেই প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তারাপীঠে পুজো দিয়ে বহরমপুর যাওয়ার পথে মন্ত্রী এ দিন রামপুরহাট কলেজে চলে আসেন। ছিলেন মন্ত্রী ও কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তপন ভট্টাচার্য ও কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীরা এবং বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের আধিকারিকেরা।
মন্ত্রী এ দিন উদ্বোধনের আগে কলেজের তিন তলার ছাদে যেখানে সৌর বিদ্যুত উৎপন্ন হবে সেই স্থান ঘুরে দেখেন। পরে অধ্যক্ষর ঘরে কলেজ কর্তৃপক্ষ মন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়। অধ্যক্ষের রুমের সামনে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যে ১০০০টি স্কুল কলেজে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৫৭টি স্কুল কলেজে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করা হয়েছে।’’ মন্ত্রীর বিশ্বাস, এই প্রকল্পের মাধ্যমে কলেজ কর্তৃপক্ষ অনেকটাই বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করতে পারবে। তিনি আশ্বাস দেন, তারাপীঠে বৈদ্যুতিক চুল্লি নির্মাণের সঙ্গে একটি সাব স্টেশন গড়ে তোলারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশিসবাবু বলেন, ‘‘এই সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের মাধ্যমে কলেজে নাক এর মূল্যায়নের ক্ষেত্রে মান-উন্নয়নে সাহায্য করবে।’’ মাত্র আড়াই মাসের ব্যবধানে বিদ্যুৎ মন্ত্রীর কাছে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন জানিয়ে এত তাড়াতাড়ি প্রকল্পটি বাস্তব রূপ দিতে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের ধন্যবাদ দেন আশিসবাবু।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তপন কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি থেকে পৃথক মিটার বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই মিটারে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের বিল থেকে বাদ দেওয়া হবে।’’ প্রকল্পের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে কোনও টাকা খরচ করতে হয়নি। নিগম ও অচিরাচরিত শক্তি দফতর এই প্রকল্পের জন্য যাবতীয় খরচ বহন করেছেন।