প্রতীকী ছবি।
বিজেপির পুরুলিয়া ২ ব্লকের ভাঙড়ার নবকুঞ্জ ময়দানের সভা থেকে প্যান্ডেল ও মাইক-সহ সরঞ্জাম নিয়ে আসার পথে তিনটি গাড়িকে আটক করল পুলিশ। গাড়িতে থাকা পাঁচ জনকে মোটর ভেহিক্যাল আইনে গ্রেফতারও করা হয়। শুক্রবার তাঁরা জামিন পেয়েছেন। এই ঘটনাকে ঘিরে বিরোধীদের দমিয়ে দিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে ফের সরব হয়েছেন পুরুলিয়ার বিজেপি নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার ভাঙড়ায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জনসভা ছিল। সেই সভার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ, সে দিন সভার পরে প্যান্ডেল ও মাইকের কিছু সরঞ্জাম নিয়ে তিনটি গাড়ি পুরুলিয়ায় ফিরছিল। মফস্সল থানার পুলিশ সুরুলিয়ার কাছে গাড়ি তিনটি আটক করে। গাড়িতে থাকা পাঁচ জনকে পুলিশ বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে।
বিজেপির আইনজীবী শেখর বসু এ দিন বলেন, ‘‘মোটর ভেহিক্যাল আইনে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এ দিন আদালত তাঁদের জামিনের আবেদন মঞ্জুন করেছে।’’ তিনি জানান, সরঞ্জামের গাড়ি থানায় আটক করে রাখা হয়েছে। মালপত্র-সহ গাড়ি ছাড়ানোর জন্য এ বার আদালতে আবেদন জানানো হবে।
বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘আমাদের ওই সভা ভণ্ডুল করার জন্য পুলিশ অনুমতি দেয়নি। সভা সফল হওয়ায় এ বার ডেকোরেটর্সের মালপত্রও আটক করল। বিরোধীদের মালপত্রই ভাড়া দেওয়াই কি ওদের দোষ?’’ তা অস্বীকার করে জেলা পুলিশের এক কর্তা দাবি করেন, ‘‘বিধি ভাঙা হয়েছে বলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অন্য কোনও কারণ নেই।’’ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বও বিদ্যাসাগরবাবুর তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক নবেন্দু মাহালির বক্তব্য, ‘‘ওই সভার প্রশাসনের কোনও অনুমতি ছিল না। সেখানে মাইক বা অন্য জিনিসপত্র ভাড়া দেওয়ার আগে ব্যবসায়ীদের ওই সভার অনুমতি রয়েছে কি না, তা দেখে নেওয়া উচিত ছিল। তবে, প্রশাসন কী করছে, তা নিয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করব না।’’