পুলিশ-ব্যারিকেড ভাঙল ছাত্রেরা

কেন বাসস্ট্যান্ডে আক্রান্ত হতে হল তাঁদের, সেই প্রশ্ন তুলে ফের বিক্ষোভে সরব কলেজ পড়ুয়ারা।শুক্রবার সিউড়ির সরকারি ও বেসরকারি বেশ কয়েকটি কলেজের পড়য়া ও ছাত্রনেতারা মিলিত ভাবে জেলা প্রশাসন ভবনে আসে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৭ ০১:৪১
Share:

যুদ্ধ: সিউড়িতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে পড়ুয়া-পুলিশ ধস্তাধস্তি। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়

কেন বাসস্ট্যান্ডে আক্রান্ত হতে হল তাঁদের, সেই প্রশ্ন তুলে ফের বিক্ষোভে সরব কলেজ পড়ুয়ারা।

Advertisement

শুক্রবার সিউড়ির সরকারি ও বেসরকারি বেশ কয়েকটি কলেজের পড়য়া ও ছাত্রনেতারা মিলিত ভাবে জেলা প্রশাসন ভবনে আসে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। ছাত্র নিগ্রহে অভিযুক্ত বাসকর্মী ও স্থানীয়দের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাতে সরাসরি পৌঁছে যান জেলাশাসকের কাছে।

কলেজ যাওয়ার পথে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে উঠতে গেলে তাঁদের মারধর করে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে, বুধবার বিকালে পড়ুয়াদের এই অভিযোগকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে সিউড়ি রামকৃষ্ণ শিল্প বিদ্যাপীঠের কলেজের সামনে রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। অভিযোগ, স্কুব্ধ পড়ুয়ারা চিহ্নিত বাসটিতে ভাঙচুর চালায়। কিন্তু পুলিশের মধ্যস্থতায় তখনকার মতো অবরোধ উঠলেও ওই কলেজের কিছু পড়ুয়া সে দিন ফেরার পথে ফের বাসকর্মীদের দ্বারা আক্রান্ত হয় বলে অভিযোগ। অন্য দিকে, বাসকর্মী ও মালিক সংগঠনের দাবি ছিল, পড়ুয়ারাই আক্রমণ করতে এসেছিল। বৃহস্পতিবার ঘটনার প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ রাখে কর্মীরা। প্রশাসন, বাসমালিক ও কর্মী সংগঠন এবং পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠকে আপাত সমাধান মিললেও সেটা যে স্থায়ী ছিল না, তা এ দিন বোঝা গেল।

Advertisement

এ দিন পড়য়াদের দাবি ছিল, বাসকর্মীদের হাতে ছাত্র নিগ্রহের ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। কেন এমন ভাবে পড়ুয়াদের উপর অত্যাচার হল, তার প্রতিকার চাই। আইটিআই, পলিটেকনিক ও সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্র সংসদের জিএস-দের দাবি ছিল, যে ঘটনা একটি কলেজের সঙ্গে ঘটেছে, সেটা অন্য দিন আরও কারও সঙ্গে ঘটবে। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করা বা বাস ভাঙচুরের যে অভিযোগ বিপক্ষ আনছে, তার বিষয়ে এ দিনও ওই নেতাদের কাছে সদুত্তর ছিল না।

জেলাশাসক পি মোহন গাঁধীর সঙ্গে কথা বলার পরে পড়ুয়ারা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীর কাছে যান। পড়ুয়ারা অভিযুক্তদের ক্ষমা চাওয়ানোর দাবি তোলেন। বিকাশবাবু বাসমালিক, কর্মী সংগঠনের নেতাদের এবং পড়ুয়াদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। শেষ পর্যন্ত পড়ুয়াদের দাবি মানা হবে বলে আশ্বাস দেওয়ার পরেই এ দিনের সমাধান মেলে। জেলার সভাধিপতি বলছেন, ‘‘পড়ুয়াদের বয়স কম। আর সবটাই নিজেদের ঘরের বিষয়। তাই সব পক্ষকে বুঝিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা হয়েছে। আজ থেকে বাসও স্বাভাবিক ভাবেই চলবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন