টিউশন নিতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। অথচ পড়তে না গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে নেমে পড়েছিল দ্বারকেশ্বরে নদের জলে। সেখানেই তলিয়ে গেল ওই ছাত্র। স্থানীয় লোকজন ও বন্ধুরা মিলে উজ্বল চক্রবর্তী(১৭) নামের পাটপুরের বাসিন্দা ওই কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা করা যায়নি। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে বাঁকুড়ার পাটপুর এলাকায়। মৃত ছাত্র বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের কলা বিভাগে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত।
বাঁকুড়া মেডিক্যালে শোকে কাতর উজ্বলের বন্ধুরা দাবি করেছে, রাজগ্রাম ব্রিজের কাছে দ্বারকেশ্বরে স্নান করতে নেমেছিল তারা। তখনও ভাবতে পারেনি কী বিপদ অপেক্ষা করছে তাদের জন্য। তাদের কথায়, “নদে ডুব জল ছিল। নেমেই আমরা বেসামাল হয়ে পড়ি। অন্যেরা উঠতে পারলেও তলিয়ে যায় উজ্বল। স্থানীয় লোকজন ও আমরা কয়েকজন খোঁজাখুজি করে তাকে জল থেকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।’’ বাঁকুড়া মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে মৃত বলে জানায়। উজ্বলের বাবা সমর চক্রবর্তীর মশলার দোকান রয়েছে এলাকায়। এই ঘটনায় গোটা পরিবার শোকে ডুবে গিয়েছে। তিনি বলেন, “ভাবতেই পারছি না উজ্বল নেই। আমরা কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না কোথা থেকে কী হয়ে গেল?” এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে উজ্বলের স্কুলেও। বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিমেষ চৌধুরী বলেন, “খবরটা শুনে আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছে। ছেলেটি ভাল ছাত্র ও প্রাণোচ্ছল ছিল।” পুলিশ জানিয়েছে, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।