Residential Sky Observation

আকাশ ভরা গ্রহ-তারা, মুগ্ধ ছাত্রীরা

আকাশ পর্যবেক্ষণ কর্মসূচি ‘রেসিডেন্সিয়াল স্কাই অবর্জাভেশন প্রোগ্রাম’ মূলত কস্তুরবা গান্ধী ছাত্রী নিবাসের আবাসিক জন্য। জেলার মোট পাঁচটি স্কুলে একই ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৪৯
Share:

টেলিস্কোপে আকাশ দেখা। সোমবার সন্ধ্যায় চিনপাই উচ্চবিদ্যালয়ের কস্তুরবা গান্ধী ছাত্রী নিবাসের সামনে। নিজস্ব চিত্র।

‘‘এত কাছে চাঁদ!’’

Advertisement

‘‘ও, এটাই বৃহস্পতি!’’

‘‘ওই তো কালপুরুষ!’’

Advertisement

সোমবার সন্ধ্যায় টেলিস্কোপে আকাশভরা গ্রহ-তারা দেখে এমনই বিস্ময় ফুটে উঠল মুগ্ধ ছাত্রীদের চোখেমুখে। এ দিন সর্বশিক্ষা মিশন বীরভূমের উদ্যোগে এবং বর্ধমানের ‘বিআইটিএম’-র সহায়তায় আকাশ পর্যবেক্ষণ কর্মসূচি হয়ে গেল দুবরাজপুরের চিনপাই উচ্চবিদ্যালয়ের কস্তুরবা গান্ধী ছাত্রী নিবাসের আবাসিকদের নিয়ে।

আকাশ পর্যবেক্ষণ কর্মসূচি ‘রেসিডেন্সিয়াল স্কাই অবর্জাভেশন প্রোগ্রাম’ মূলত কস্তুরবা গান্ধী ছাত্রী নিবাসের আবাসিক জন্য। জেলার মোট পাঁচটি স্কুলে একই ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সেখানে কস্তুরবা গান্ধী ছাত্রীনিবাসও রয়েছে। সোমবার ছিল চিনপাই উচ্চ বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক মানিকচন্দ্র ঘোষ বলছেন, ‘‘হস্টেলের একশো আবাসিক ছাত্রীর জন্য এই অনুষ্ঠান হয়ছে। ওদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ ছিল।’’ একই দাবি করেছেন ওই ছাত্রী নিবাসের দায়িত্বে থাকা লীনা চট্টোপাধ্যায়।

মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত ছিল গোটা কর্মসূচি। প্রথমে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও মহাকাশ নিয়ে একটি সেমিনার। সেখানে গ্রহ, নক্ষত্র, মহাকাশ সম্পর্কে একটা ধারণা দেওয়া হয় ছাত্রীদের। পরে বিআইটিএমের আধিকারিকেরা ছাত্রীদের রাশিচক্র ও নক্ষত্র ঘড়ির ধারণা দিতে হাতেকলমে কাগজ ও গ্রাফ দিয়ে বিভিন্ন মাসে নক্ষত্রদের অবস্থান কী ভাবে বুঝতে হয়, তা শিখিয়ে দেন।

সন্ধ্যায় মূল আকর্ষণ ছিল টেলিস্কোপে আকাশ দেখা। তাতে দারুণ খুশি ছাত্রীরা। তারা দেখেছে অমবস্যার পরে কাস্তের মতো চাঁদ। বৃহস্পতি ও বৃহস্পতির চার উপগ্রহ, শনির বলয়, সপ্তর্ষিমণ্ডল, কালপুরুষ, ধ্রুবতারা ইত্যাদি।অষ্টম শ্রেণির সুহানা খাতুন, সোনালি মুর্মুরা বলছে, ‘‘এত কাছ থেকে আকাশের গ্রহ তারাকে দেখতে পাব ভাবিনি। মনে হচ্ছিল ছুঁয়ে দেখা যাবে।’’ পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া সঞ্জনা হেমব্রম বলছে, ‘‘কাস্তের মতো চাঁদের গায়ে গর্ত দেখলাম।’’ সপ্তম শ্রেণির সঙ্গীতা মুর্মু বলছে, ‘‘বৃহস্পতি আর তার উপগ্রহ দেখলাম। দারুণ ভাল লাগল।’’

বর্ধমান সায়েন্স সেন্টারের এডুকেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট অঞ্জন মণ্ডলের তত্ত্বাবধানে এই কর্মসূচি পালিত হয়। তিনি বলছেন, ‘‘দেশ সফল চন্দ্র অভিযান করেছে। সূর্য অভিযানে পাঠানো হয়েছে আদিত্যকে। পড়ুয়াদের মধ্যে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও মহাকাশ নিয়ে আগ্রহের বীজ যাতে বপন করা যায় এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য সেটাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন