নির্দেশ: সভায় মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: নিজস্ব চিত্র
বিশ্বভারতীর সঙ্গীতভবনের পড়ুয়াদের কর্মসংস্থান, প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্য এবং আশ্রমিক পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখা-সহ একাধিক দাবি এবং প্রস্তাব উঠে এল মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে। জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে কোনও কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া এবং কর্তৃপক্ষের দাবি, আবদার এবং প্রস্তাবকে অগ্রাধিকার সম্ভবত এই প্রথম ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রীর এমন আশ্বাসে খুশি সংশ্লিষ্ট মহলের পড়ুয়া থেকে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ।
রবীন্দ্রনাথ আর বোলপুর-শান্তিনিকেতন প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা বরাবরের। তাই যে কোনও প্রয়োজনে বিশ্বভারতী চাইলে, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস আগেই দিয়েছিলেন।
শুধু আশ্বাসই নয়। এমন একাধিক বিষয় নিয়ে বিশ্বভারতী আর্জি, ধাপে ধাপে পূরণ করেওছেন। তাই তাঁকে হাতের নাগালে পেয়ে ছাত্রছাত্রী ও প্রতিষ্ঠানের কর্তারা নানা আর্জি জানালেন। মিনিট তিরিশের ওই প্রশ্নোত্তর পর্বে, আক্ষরিক অর্থে বিশ্বভারতীর প্রাপ্তি অনেক বলে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি।
শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক চরিত্র বজায় রাখতে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাস্তায় ভারী যান চলাচল বন্ধ করা, রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা, নো হর্ন জোন, বেআইনি জবরদখল উচ্ছেদ-সহ একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের সহায়তা ছাড়া, প্রকল্প ও পরিকল্পনার রুপায়ন প্রায়ই অসম্ভব। সে কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছিল বিশ্বভারতী। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন ডাকঘর মোড় থেকে উপাসনা মন্দিরের রাস্তা বিশ্বভারতীর দখলে এসেছে। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন দত্তের আর্জি মেনে, যানজট নিরসনে এবং আশ্রমের রাস্তায় চাপ কমানোর জন্য একটি রিং রোডের সার্ভে কাজ শেষ হয়েছে।
এ দিনের বৈঠকে সঙ্গীত ভবনের পড়ুয়াদের কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে শান্তিনিকেতন রোড বরাবর একটি সমান্তরাল রাস্তার আর্জি জানান পড়ুয়া এবং কর্তৃপক্ষ।
শুধু তাই নয়, পরিবেশকে অক্ষুন্ন রাখতে বিশেষ ব্যবস্থার প্রস্তাব এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার আর্জি জানান স্বপনবাবু। সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন মমতা।